সাতক্ষীরাঃ

তালায় ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় বোনকে উদ্ধার করতে আসায় লম্পট মাসুদ শেখ’র হামলায় মেয়েটির কলেজ পড়ুয়া ভাই (২৩) আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কলেজ ছাত্রীকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হেেয়ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২২ জানুয়ারী) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিন শাহাজাতপুর গ্রামে। তবে, এঘটনার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী আনারুল ইসলাম বিষয়টি ধাঁমাচাঁপা দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করায় দরিদ্র ভিকটিম পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছে।

ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর চাচাতো ভাই জানান, কলেজ পড়ুয়া তার বোন (১৯) কে দক্ষিন শাহাজাতপুর গ্রামের শেখ শাহাজান আলীর লম্পট ছেলে মাসুদ শেখ (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করছিল। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আইসিটি বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাবার সময় পথিমধ্যে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত ও মারপিট করে লম্পট মাসুদ। ফলে ওই পরীক্ষাটি যথাযথ ভাবে দিতে না পারায় এই বিষয়ে ফেল করে মেয়েটি। এ ঘটনাটি তখন এলাকার লোকদের জানানো হলেও কোনও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীর পরিবার।

ভিকটিম মেয়ের চাচী জানান, বিবাহিত ও ২ কন্যা সন্তানের জনক লম্পট মাসুদ শেখ দীর্ঘ দিন ধরে কলেজ ছাত্রী ওই মেয়েকে কূ-প্রস্তাব সহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু মেয়েটি ও তার পরিবার রাজি না হয়ে বিষয়টি মাসুদের পরিবার সহ গ্রামের লোকদের কাছে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ শেখ। বুধবার বেলা ১২টার দিকে লম্পট মাসুদ বাড়িতে একা পেয়ে ওই মেয়েটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলে লম্পট মাসুদ তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় মেয়েটির ভাই স্নাতকের ছাত্র এগিয়ে আসলে লম্পট মাসুদ তাকেও পিটিয়ে আহত করে। ঘটনায় গুরুতর আহত ভিকটিমকে এদিন তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে ভিকটিমের চাচাতো ভাই জানান।

এদিকে, ঘটনাটি ধাঁমাচাঁপা দিতে নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে দাবী তোলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর কাজী আানরুল ইসলাম।

এইচএসসি পরীক্ষার সময় মেয়েটিকে হামলা চালানো হয়েছিল- বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি সদস্য বলেন, সেসময় আমি মাসুদ শেখকে মারার জন্য তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। আপনারা নিউজ বন্ধ রেখে আমাকে ২দিন সময় দেন। আমি মাসুদকে এবার জুতা দিয়ে পিটাবো এবং জরিমানা করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here