সবুজদেশ ডেক্সঃ রাজধানীতে লেগুনা চাপায় সাত বছরের এক শিশু নিহতের ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার চালককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। ওই লেগুনা চালকের নাম সোহাগ মোল্লা।
ঢাকার হাজারীবাগ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, লেগুনা চালক সোহাগের ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা লেগুনার ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি।
গত রোববার বিকেলে হাজারীবাগ থানার কোম্পানীঘাট সেকশন বেড়িবাঁধ রোডে লেগুনা চাপায় মারা যায় সাত বছরের শিশু মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় শিশুটির মা মৌহুদা বেগম বাদী হয়ে চালক সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ দিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় লেগুনা চলবে না বলে ঘোষণা দেন।
হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে লেগুনা চলছে। লেগুনা চাপায় মারা গেছে শিশু মোস্তাফিজ। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।
মোস্তাফিজের মা মৌহুদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোস্তাফিজ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে কোম্পানীঘাট এলাকায় যায়। লেগুনা চালক সোহাগ তাঁর ছেলেকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে।’
আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, চালক সোহাগ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে ধাক্কা দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
চার বছর আগে রংপুর থেকে ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেন মোস্তাফিজের মা মৌহুদা বেগম ও তাঁর স্বামী। মৌহুদা বলেন, তাঁর স্বামীর নাম তফছের। তিনি দিনমজুর। নিজে অন্যের বাড়িতে কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চালান। শিশু মোস্তাফিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।