শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৯০০ মোবাইল ফোন ‘হাওয়া’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমদানিকৃত ৯০০ মোবাইল হ্যান্ডসেটের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। হংকং থেকে আমদানি করা এসব ফোনসেটগুলোর ‘হাওয়া’ হওয়ার ঘটনায় সোমবার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। হ্যান্ডসেটগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছিল এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ৫টি প্লেট (১ প্লেট ৯০০ মোবাইল থাকে) আমদানি করলেও বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে চারটি প্লেট আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে চুরি যাওয়া মোবাইল সেটের মধ্যে তিনটি হ্যান্ডসেট দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মোবাইল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ৬ জুলাই হংকং থেকে ৫টি প্লেট স্যামস্যাং (মডেল-SM-J600GZBGBNG) মোবাইল আমদানি করে (ইনভয়েস নং- ৯০১২৫৩৬১৮৩)। দুইদিন পর ৮ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ই-ওয়াই ৯৮০৭ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে তা বাংলাদেশ বিমানের তত্ত্বাবধানে ম্যানওয়ার হাউস-২তে সংরক্ষিত ছিল।
১২ জুলাই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট মমতা ট্রেডিং কোম্পানি লি. ঢাকা কাস্টমসসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে মোবাইল হ্যান্ডসেট ছাড় করানোর জন্য গেলে সেখানে ৯শ’ মোবাইলের (১ প্লেট) হদিস মেলেনি। এসব মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ম্যানওয়ার হাউস-২ থেকে চুরি হয়েছে।
দীর্ঘ একমাস পর গত ৬ আগস্ট মোবাইলগুলোর আইএমই নম্বর সংগ্রহ করে মামলা করা দায়ের করা হয়। মোবাইলগুলোর বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজন ফকির এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, মামলা দায়ের করার পরই মোবাইলের হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমই নম্বর পুলিশের বিশেষ শাখায় দেয়া হয়েছে। সেগুলো দেশের কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে নাকি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিমানের তত্ত্বাবধানে ম্যানওয়ার হাউস-২-এর কাছে বেশ গত কয়েকদিনের সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।