ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহবান যবিপ্রবি উপাচার্যের

Reporter Name

যশোর প্রতিনিধিঃ

দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (যবিপ্রবি)সহ যশোরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাসা/বাড়ির মালিকদেরকে মেস/সিট ভাড়া মওকুফের আহবান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

(৩০ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকেলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এ আহবান জানান। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বাসা/বাড়ির মালিকদের প্রতি মেস/সিট ভাড়া মওকুফের এ আহবান জানান।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চিঠিও পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন লেখেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠে রূপান্তর লাভ করেছে। এখানে দেশের সকল জেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন।

এ ছাড়া সরকারি এম এম কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ যশোরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন। এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ আবাসিক না হওয়ায় অনেকে যশোর শহর, শহরতলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে মেস বা বাসা নিয়ে থাকছেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের পড়াশোনার ব্যয় টিউশনি ও পার্টটাইমের জবের মাধ্যমে নির্বাহ হয়।

কিন্তু বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের থাবায় থেমে আছে। যশোরেও এর মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের অংশ হিসেবে কেউ বাইরে যেতে পারছে না। ফলে আমার সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীদের কোনো আয় নেই, তাদের পিতা-মাতাও কোনো অর্থের যোগান দিতে পারছে না।

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজীয় নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদেরকে বাসা-বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।

একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর চিঠি দিয়েও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
৩০০ Time View

শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহবান যবিপ্রবি উপাচার্যের

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

যশোর প্রতিনিধিঃ

দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (যবিপ্রবি)সহ যশোরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাসা/বাড়ির মালিকদেরকে মেস/সিট ভাড়া মওকুফের আহবান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

(৩০ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকেলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এ আহবান জানান। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বাসা/বাড়ির মালিকদের প্রতি মেস/সিট ভাড়া মওকুফের এ আহবান জানান।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চিঠিও পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন লেখেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠে রূপান্তর লাভ করেছে। এখানে দেশের সকল জেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন।

এ ছাড়া সরকারি এম এম কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ যশোরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন। এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ আবাসিক না হওয়ায় অনেকে যশোর শহর, শহরতলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে মেস বা বাসা নিয়ে থাকছেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের পড়াশোনার ব্যয় টিউশনি ও পার্টটাইমের জবের মাধ্যমে নির্বাহ হয়।

কিন্তু বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের থাবায় থেমে আছে। যশোরেও এর মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের অংশ হিসেবে কেউ বাইরে যেতে পারছে না। ফলে আমার সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীদের কোনো আয় নেই, তাদের পিতা-মাতাও কোনো অর্থের যোগান দিতে পারছে না।

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজীয় নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদেরকে বাসা-বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।

একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর চিঠি দিয়েও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।