ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীরা যা দেখিয়েছে, আমরা বাস্তবায়ন করব: মনিরুল

Reporter Name

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে এবং তারা গাড়ি পরীক্ষা করছে। এ কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাসমালিক ও শ্রমিকেরা দূরপাল্লার এবং শহরের মধ্যকার বাস চলাচল কমিয়ে দিয়েছেন। এতে অসুস্থ রোগী, বিদেশগামী যাত্রী ও হজযাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মারা গেছে, তাদের তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সড়কের যে বিদ্যমান সমস্যা, তা–ও রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এখন আমরা অনুরোধ করছি—ছাত্রছাত্রীরা কোনো রকম উসকানিতে কান না দিয়ে বাসায় ফিরে যাক।’

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় একধরনের স্বার্থান্বেষী লোকজন মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গাড়ি চেকিংয়ের নামে একদল সুযোগসন্ধানী এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আটটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পাঁচটি পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে।’ তিনি আরও বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম অনেক ছিল। এগুলো দূর করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি, সড়কের অপ্রতুলতা, নাগরিক অসচেতনতা, যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়া, ওভারব্রিজ ব্যবহার না করা—এসব কারণে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফেরাতে বিলম্ব হচ্ছে।

লাইসেন্স পরীক্ষা করাসহ সড়কে কীভাবে শৃঙ্খলা আনতে হয়, শিক্ষার্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিচ্ছে, আপনারা কীভাবে দেখছেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শিশুদের কাছ থেকেও অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যে অনিয়ম রয়েছে, সেসব জায়গায় উন্নয়নের আরও সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে যা দেখিয়ে দিয়েছে, সেটা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব।’

পুলিশের গাড়ি পরীক্ষা ও লাইসেন্স না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের গাড়ি চালানোর সঙ্গে যুক্ত সব চালকের লাইসেন্স আছে, এটা নিশ্চিত। তবে লাইসেন্স পরীক্ষা করার ক্ষমতা শুধু পুলিশ ও বিআরটিএর। পুলিশই যেহেতু লাইসেন্স দেখে, তাই অনেকেই তা সঙ্গে রাখেননি। আবার অনেকেই পরিবহন শাখায় রেখে দেন। ভবিষ্যতে যাঁর যাঁর লাইসেন্স, তাঁর তাঁর কাছে রাখার কথা ভাবছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন, ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
১০২৫ Time View

শিক্ষার্থীরা যা দেখিয়েছে, আমরা বাস্তবায়ন করব: মনিরুল

আপডেট সময় : ০৫:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে এবং তারা গাড়ি পরীক্ষা করছে। এ কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাসমালিক ও শ্রমিকেরা দূরপাল্লার এবং শহরের মধ্যকার বাস চলাচল কমিয়ে দিয়েছেন। এতে অসুস্থ রোগী, বিদেশগামী যাত্রী ও হজযাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মারা গেছে, তাদের তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সড়কের যে বিদ্যমান সমস্যা, তা–ও রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এখন আমরা অনুরোধ করছি—ছাত্রছাত্রীরা কোনো রকম উসকানিতে কান না দিয়ে বাসায় ফিরে যাক।’

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় একধরনের স্বার্থান্বেষী লোকজন মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গাড়ি চেকিংয়ের নামে একদল সুযোগসন্ধানী এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আটটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পাঁচটি পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে।’ তিনি আরও বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম অনেক ছিল। এগুলো দূর করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি, সড়কের অপ্রতুলতা, নাগরিক অসচেতনতা, যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়া, ওভারব্রিজ ব্যবহার না করা—এসব কারণে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফেরাতে বিলম্ব হচ্ছে।

লাইসেন্স পরীক্ষা করাসহ সড়কে কীভাবে শৃঙ্খলা আনতে হয়, শিক্ষার্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিচ্ছে, আপনারা কীভাবে দেখছেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শিশুদের কাছ থেকেও অনেক সময় শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যে অনিয়ম রয়েছে, সেসব জায়গায় উন্নয়নের আরও সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে যা দেখিয়ে দিয়েছে, সেটা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব।’

পুলিশের গাড়ি পরীক্ষা ও লাইসেন্স না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের গাড়ি চালানোর সঙ্গে যুক্ত সব চালকের লাইসেন্স আছে, এটা নিশ্চিত। তবে লাইসেন্স পরীক্ষা করার ক্ষমতা শুধু পুলিশ ও বিআরটিএর। পুলিশই যেহেতু লাইসেন্স দেখে, তাই অনেকেই তা সঙ্গে রাখেননি। আবার অনেকেই পরিবহন শাখায় রেখে দেন। ভবিষ্যতে যাঁর যাঁর লাইসেন্স, তাঁর তাঁর কাছে রাখার কথা ভাবছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন, ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।