ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিথিল করে বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে।

ঢাকাঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ মে। এরপর ঈদ পর্যন্ত মাত্র তিনটি কর্মদিবস পাওয়া যাবে। তাই প্রশ্ন উঠেছে- এই পরিস্থিতিতে কী লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে নাকি বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকলে কিছুটা শিথিল করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। তবে ৫ মে’র আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে।

লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

আগামী ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে ৬ (বৃহস্পতিবার), ৯ (রোববার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। এর মধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে (সোমবার) হচ্ছে শবে কদরের ছুটি।

আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে’ও (শনিবার) ছুটি থাকবে।

লকডাউনের বর্তমান মেয়াদ শেষে ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে- জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ের ওপর আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে যে, আমরা কী করব।’

তিনি বলেন, ‘৫ তারিখের পর বিধিনিষেধের কী হবে সেটা এখনো চিন্তা-ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ৫ তারিখের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকায় লকডাউন তুলে দেয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে ১৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে। তবে যাই হোক সেই সিদ্ধান্ত ৫ মে’র আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত হবে।’

Tag :

শিথিল করে বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ

Update Time : ০৩:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ মে। এরপর ঈদ পর্যন্ত মাত্র তিনটি কর্মদিবস পাওয়া যাবে। তাই প্রশ্ন উঠেছে- এই পরিস্থিতিতে কী লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে নাকি বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকলে কিছুটা শিথিল করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। তবে ৫ মে’র আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে।

লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

আগামী ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে ৬ (বৃহস্পতিবার), ৯ (রোববার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। এর মধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে (সোমবার) হচ্ছে শবে কদরের ছুটি।

আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে’ও (শনিবার) ছুটি থাকবে।

লকডাউনের বর্তমান মেয়াদ শেষে ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে- জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ের ওপর আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে যে, আমরা কী করব।’

তিনি বলেন, ‘৫ তারিখের পর বিধিনিষেধের কী হবে সেটা এখনো চিন্তা-ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ৫ তারিখের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকায় লকডাউন তুলে দেয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে ১৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে। তবে যাই হোক সেই সিদ্ধান্ত ৫ মে’র আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত হবে।’