ঢাকাঃ

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আবরার হত্যার নেপথ্যের কারণ কি জানতে চাইলে মনিরুল সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা জবানবন্দিতে জানিয়েছে, শিবির সন্দেহেই আবরারকে হত্যা করেছে।

নভেম্বরে আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের কথা জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আলোচিত এই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে আগামী নভেম্বর মাসেই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ঘটনার রাতে পুলিশের কোনো টহল টিম বুয়েট ক্যাম্পাসে ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন রাত ৩টা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো হইচইয়ের শব্দ পায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে নিজ কক্ষ (১০১১) থেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। ওই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে আবরারের বাবা। এর মধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here