ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর-লুটপাট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বুড়ামারা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। করা হয়েছে লুটপাটও। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুনরায় হামলার আতংকে বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থরা।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস। এরপর থেকেই পরাজিত সতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থক সাথে তার সমর্থকদের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

ক্ষতিগ্রস্থ তোজাম জোয়ার্দ্দার বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফারুক হোসেন সমর্থকরা তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। রাত ১২ টা পর্যন্ত ২ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, চালসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।

আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম বলে আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষ আজ বাড়িছাড়া। আমরা কয়েকজন মেয়ে মানুষ ছিলাম। রাতে ওরা এসে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। যা কিছু আছে তাই নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের বাড়ি এলাকায় আমার কিছু সমর্থক আছে। তারা আমাকে ভোট দিয়েছে। যে কারণে তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে। আমি এই হামলা-ভাংচুরের বিচার দাবী করছি।

পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত উনারা কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর-লুটপাট

Update Time : ০৬:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বুড়ামারা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। করা হয়েছে লুটপাটও। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুনরায় হামলার আতংকে বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থরা।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস। এরপর থেকেই পরাজিত সতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের সমর্থক সাথে তার সমর্থকদের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

ক্ষতিগ্রস্থ তোজাম জোয়ার্দ্দার বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফারুক হোসেন সমর্থকরা তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। রাত ১২ টা পর্যন্ত ২ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, চালসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।

আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম বলে আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষ আজ বাড়িছাড়া। আমরা কয়েকজন মেয়ে মানুষ ছিলাম। রাতে ওরা এসে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। যা কিছু আছে তাই নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের বাড়ি এলাকায় আমার কিছু সমর্থক আছে। তারা আমাকে ভোট দিয়েছে। যে কারণে তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে। আমি এই হামলা-ভাংচুরের বিচার দাবী করছি।

পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত উনারা কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।