ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সীর সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে!
যশোরঃ
যশোরের চৌগাছায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ৩৫ বছর বয়সীর সঙ্গে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তি আগেও দুটি বিয়ে করেছেন।
গত ২৮ আগস্ট চৌগাছা উপজেলা শহরের বাড়ির সামনে থেকে স্কুলছাত্রীকে তুলে নেয়া হয়। পরে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ উপজেলার কিসমতখানপুর থেকে তাকে উদ্ধার করে।
ছাত্রীর পরিবার ঘটনাকে অপহরণ বললেও পুলিশের দাবি, দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারই সূত্র ধরে মেয়েটি পালিয়ে এসেছিল।
জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট তিব্বত হোসেন ও মোহন নামে দুই ব্যক্তি মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে ঝিনাইদহের একটি কাজী অফিসে গিয়ে চৌগাছার কিসমতখানপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মোহনের (৩৫) সঙ্গে তার বিয়ে দেয়া হয়। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মোহন আগেও দুটি বিয়ে করেন। এদের মধ্যে এক স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা যান। অন্যজন আত্মহত্যা করেন।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, ঘটনার দিন বাড়িতে মেয়ে একা ছিল। সে বাড়ির বাইরে বের হলে স্থানীয় ঘটক তিব্বত ও তার এক ভায়রা তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি দাবি করেন, ‘এ ঘটনার আগের দিন ঘটক তিব্বত আমার মেয়েকে মোহন নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় আমি রাজি হইনি। তখন তিব্বত আমাকে হুমকি দেন- তোমার মেয়ে তুলে নিতে আমার ৫ টাকার ভাজা (চানাচুর) খরচ হবে। কিন্তু, সত্যি সত্যিই তারা এমন কাজ করবে আমি ভাবতেও পারিনি।’
মেয়েটি পরিবারকে জানায়, জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে ঝিনাইদহে একটি গাড়ির মধ্যে দেখতে পায়। কিছু বলার চেষ্টা করতেই দু’জন মুখ চেপে ধরে। অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কাজী অফিসে নিয়ে মোহন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর মোহন তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার আদমপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘অপহরণের পর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি। পরে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিসমতখানপুর থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে। ওইদিন রাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে চৌগাছা থানা পুলিশ।’
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, ‘ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির প্রেম ছিল। এরই সূত্র ধরে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।’