সংগীত ক্যারিয়ারে এক যুগ ঝিলিকের
সবুজদেশ ডেস্কঃ
পূর্ণ করলেন চলতি প্রজন্মের ভার্সেটাইল গায়িকা ঝিলিক। ২০০৮ সালের আগস্টে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হন ঝিলিক। এরপর থেকেই সংগীতশিল্পী হিসেবে পেশাগতভাবে যাত্রা শুরু হয় তার। যদিও তার আগে ছোটবেলাতেই গানের হাতেখড়ি হয় তার বাবার কাছে।
ক্ল্যাসিকাল, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, ফোক, আধুনিক সব ধরনের গানেই সে সময় থেকেই দখল ঝিলিকের। সে সময়ই পেয়েছেন বেশকিছু জাতীয় পুরস্কারও। এদিকে পেশাগতভাবে গানে যাত্রার পর রুনা লায়লা থেকে শুরু করে দেশবরেণ্য অনেক শিল্পীই ঝিলিকের গায়কির প্রশংসা করেছেন বার বার।
এদিকে তিনটি একক অ্যালবাম ও সিঙ্গেল থেকে ঝিলিকের বেশকিছু গান পেয়েছে শ্রোতাপ্রিয়তা।অডিওর বাইরে প্লে-ব্যাকও করেছেন বেশকিছু। আর বছরের বেশির ভাগ সময়ই এ শিল্পী ব্যস্ত থাকেন স্টেজ শো নিয়ে। সংগীতে নিজের এক যুগ পূর্ণ প্রসঙ্গে ঝিলিক বলেন, প্রথমত আমার শ্রোতাদের ধন্যবাদ দিতে চাই আর আমার মা ও বাবার জন্যই সংগীতে এতটা পথ ভালোভাবে পাড়ি দিতে পেরেছি। তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা এত বেশি পেয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিতে চাই সব সময় পাশে থাকার জন্য। চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এটা বড় প্ল্যাটফরম ছিল আমার জন্য। তাদের প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞতা। এই ১২ বছরে সংগীতে প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি নিয়ে
ঝিলিক বলেন, প্রাপ্তি অনেক। গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। গুণীজনদের উৎসাহ সব সময় পাই। বিশেষ করে আমাদের কিংবদন্তি রুনা লায়লা ম্যাডাম বিভিন্ন সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন, যেটা বিশাল প্রাপ্তি আমার জন্য। অন্য গুণীজনরাও আমাকে ভালোবাসেন, উৎসাহ দেন। গীতিকার, সুরকার, মিউজিশিয়ানসহ সংগীত সংশ্লিষ্টদের সবার ভালোবাসা পেয়ে আসছি। এই ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।
এখন গানের কি অবস্থা? সামনের পরিকল্পনা কি? উত্তরে ঝিলিক বলেন, করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে স্টেজ শো বন্ধ রয়েছে। নতুন গানও এই সময়ে কম হয়েছে। তার মধ্যে থেকেও কিছু নতুন গান প্রকাশ পেয়েছে আমার। আর কয়েকটি গানের কাজ চলছে এখন। এরমধ্যে বিশেষ চমকও রয়েছে। এটা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আর পরিকল্পনা আমার একটাই। ভালো ভালো গান গেয়ে যাওয়া। এমন কিছু গান করতে চাই সামনে যা শ্রোতারা অনেক দিন মনে রাখবেন।