ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় সামাজিক আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহব্বত আলী (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৮ টার দিকে নাকোবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সংঘর্ষ নিয়ে আশংকার কথা অনেকবার কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেন নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের। গতকাল (শনিবার) রাতেও ওসিকে দু’পক্ষের সংঘর্ষের কথা জানানো হয়। কিন্তু পুুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সংঘর্ষের কিছু সময় আগেও পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা ব্যবস্থা নেয়নি। যখন বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তখনও পুলিশ ইউনিয়নেই অবস্থান করছিল।
ছোট তালিয়ান গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে নজরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক মহব্বত আলীর নিহতের খবর এলাকায় পৌঁছালে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় গরু, ধান ও ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে গিয়েছে। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছি। পানি খাওয়ার একটি গ্লাসও বাড়িতে অবশিষ্ট নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাকোবাড়িয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এর আগেও এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে কোন দলাদলির বিষয় নেই। শুধুমাত্র সামাজিক দল শক্তিশালী করতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ৩/৪ দিন ধরে পুলিশকে এই সংঘর্ষের আশংকার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে এই সংঘর্ষ নাও ঘটতে পারতো।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এক যুগ্ম আহবায়ক সবুজদেশ নিউজকে বলেন, আজ সকালেও ওসিকে সংঘর্ষের আশংকার কথা জানানো হয়েছে। এর পরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গতকাল রাতেও বলেছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এমন সংঘর্ষ নাও ঘটতে পারতো। জামাল ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগেও দুইটি মামলা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আগে থেকে কেউ জানায়নি। এখন পর্যন্ত ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সবুজদেশ/এসএএস