ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবুজদেশ নিউজে সংবাদ প্রকাশ: পুনঃনির্মাণ হলো সেই সড়ক

আব্দুল্লাহ বাশার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) :

ছবি সংগৃহীত-

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল সবুজদেশ নিউজ ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সেই সড়কটি নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিলেন সুবল ও সুকেশ হালদার। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ) সড়কটির পূনঃনির্মাণ করে দেন তারা।

জানা যায়,  কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর হালদার পাড়ায় বসবাস করেন ২০ টি পরিবার। যাদের চলাচলের কোন রাস্তা ছিল না। ওই পরিবারগুলো মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতেন। এরপর গত ২০২৩ সালের ৭ জুন  ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (২য় সংশোধিত) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কোটচাঁদপুরের অধীনে সড়কটি নির্মিত হয়। সেই সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার ২০ পরিবারের মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন।

এরপর গত ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর সুবল হালদার বাদি হয়ে গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটা মোকাদ্দামা দায়ের করেন। ওই একই ঘটনায় গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে আরো দুইটি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকাদ্দামা দায়ের করেন সুবল হালদার।

এ সব করেই চুপ থাকেননি তারা। গত  ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সুবল ও সুকেশ হালদার তাদের লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক সড়কের প্রবেশ মুখে দেওয়াল নির্মাণ করেন। এ ছাড়া ওই সড়কের পাশেই ফেলে রাখেন কিছু ইট। এতে করে চলাচলের রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি হয় ওই পরিবারগুলোর মানুষের।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ তারিখে সবুজদেশ নিউজ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শুরু সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দৌড় ঝাপ। এরপর চলে অনেক দেন দরবার। শালিশ হয় কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদে। ওই শালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর  সুবল হালদার ও সুকেশ হালদার সড়কের উপরের সেই দেওয়াল ভেঙ্গে নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিলেন সড়কটি। এতে করে আবারও যাতায়াতের সুবিধা ফিরে পেলেন ওই এলাকার পরিবারগুলো।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সড়কটি নির্মাণ করে ছিলেন উপজেলা বিআরডিবি বিভাগ। ওই সময় উভয়ের সম্মতিতে সড়কটি করা হয়। সম্প্রতি মামা ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ হওয়ায় ভাগ্নে সুবল ও সুকেশ হালদার সড়কের ইট তুলে তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মামা গোপাল হালদার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া ওই ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে শালিশ হয় এলাঙ্গী পরিষদে। ওই শালিশে সিদ্ধান্ত হয় সড়কটি পূর্ননির্মাণ করে দিবেন তারা। সে অনুযায়ী তারা সড়কটি করে দিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
২২ Time View

সবুজদেশ নিউজে সংবাদ প্রকাশ: পুনঃনির্মাণ হলো সেই সড়ক

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল সবুজদেশ নিউজ ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সেই সড়কটি নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিলেন সুবল ও সুকেশ হালদার। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ) সড়কটির পূনঃনির্মাণ করে দেন তারা।

জানা যায়,  কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর হালদার পাড়ায় বসবাস করেন ২০ টি পরিবার। যাদের চলাচলের কোন রাস্তা ছিল না। ওই পরিবারগুলো মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতেন। এরপর গত ২০২৩ সালের ৭ জুন  ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (২য় সংশোধিত) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কোটচাঁদপুরের অধীনে সড়কটি নির্মিত হয়। সেই সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার ২০ পরিবারের মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন।

এরপর গত ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর সুবল হালদার বাদি হয়ে গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটা মোকাদ্দামা দায়ের করেন। ওই একই ঘটনায় গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে আরো দুইটি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকাদ্দামা দায়ের করেন সুবল হালদার।

এ সব করেই চুপ থাকেননি তারা। গত  ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সুবল ও সুকেশ হালদার তাদের লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক সড়কের প্রবেশ মুখে দেওয়াল নির্মাণ করেন। এ ছাড়া ওই সড়কের পাশেই ফেলে রাখেন কিছু ইট। এতে করে চলাচলের রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি হয় ওই পরিবারগুলোর মানুষের।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ তারিখে সবুজদেশ নিউজ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শুরু সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দৌড় ঝাপ। এরপর চলে অনেক দেন দরবার। শালিশ হয় কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদে। ওই শালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর  সুবল হালদার ও সুকেশ হালদার সড়কের উপরের সেই দেওয়াল ভেঙ্গে নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিলেন সড়কটি। এতে করে আবারও যাতায়াতের সুবিধা ফিরে পেলেন ওই এলাকার পরিবারগুলো।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সড়কটি নির্মাণ করে ছিলেন উপজেলা বিআরডিবি বিভাগ। ওই সময় উভয়ের সম্মতিতে সড়কটি করা হয়। সম্প্রতি মামা ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ হওয়ায় ভাগ্নে সুবল ও সুকেশ হালদার সড়কের ইট তুলে তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মামা গোপাল হালদার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া ওই ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে শালিশ হয় এলাঙ্গী পরিষদে। ওই শালিশে সিদ্ধান্ত হয় সড়কটি পূর্ননির্মাণ করে দিবেন তারা। সে অনুযায়ী তারা সড়কটি করে দিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।

সবুজদেশ/এসইউ