ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঙ্গীর মধ্যে যে ৮টি লক্ষণ দেখলে বিয়ে করবেন

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্ক:

মনের মানুষটিকে সারাজীবনের জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া মত আনন্দ আর নেই। ভালোবেসে বিয়ে করে একসঙ্গে সারাজীবন কাটানোর গল্প অনেক শোনা যায়।

এমন রোমান্টিক গল্প শুনে অনেকের হৃদয়পটে ভেসে আসে প্রেমিকার অবয়ব।  সে আপনার জীবনসঙ্গী হবে কি-না, আনার প্রতি যত্নবান কি-না, আপনার পরিবারকে সম্মান করে কি-না অথবা আপনার পাশে সবসময় থাকবে কি-না এমন অনেক প্রশ্ন-ও আসতে পারে আপনার মনে। 

প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে যদি আপনার মনে এ প্রশ্নগুলো আসে আর সেগুলোর ইতিবাচক উত্তর যদি আপনি পান, তাহলে সে প্রেমিকাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন।

জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর এক প্রতিবেদনে এমন কিছু লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা দেখলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে-

১. সাপোর্ট দেয়া
প্রেমিকা যদি আপনার সামর্থ্যের ওপর আস্থা রেখে আপনাকে অনেক ভালোবাসে তাহলে অবশ্যই তাকে বিয়ে করতে পারেন। যখন কেউ আপনার সমর্থনে না থেকে আপনাকে ব্যর্থ ভাবে, কিন্তু আপনার প্রেমিকা আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছে তাহলে তাকেই আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া উচিৎ। সে আপনার জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

২. আস্থা রাখা
প্রতিটি সম্পর্কেই একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। এর ভিত্তিতেই নির্ভর করে সম্পর্কের মূল শক্তি। আপনার প্রেমিকা আপনাকে বিশ্বাস করে, আপনার ওপর আস্থা রেখে এটা মানে যে আপনিই তার সব, তাহলে তাকেই আপনার বিয়ে করা উচিৎ। 

৩. প্রশংসা করে ও উৎসাহ দেয়
প্রেমিকা আপনার প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে যদি স্বাগত জানায় এবং আপনাকে উৎসাহ দেয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গী করা উচিৎ আপনার। এমন প্রেমিকা বিশ্বাস করে যে আপনি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রমই করছেন, সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তাই সে আপনার প্রচেষ্টার ব্যাপারে কখনও অভিযোগ না করে আপনাকে সাপোর্ট করবে এবং আপনার জীবনের লক্ষ অর্যনে ভূমিকা রাখবে।

৪. আপনার বন্ধুকেও বন্ধু মনে করা
আপনার বন্ধুমহলকে যদি আপনার সঙ্গী চেনে ও তাদের সঙ্গে যদি প্রেমিকাও ভালো আচরন করে তাহলে সেই প্রেমিকাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার বন্ধুমহলে করা কিছু পাগলামির বিচার না করে মেনে নিলে তাকে আপান জীবনসঙ্গী করতে পারেন। 

৫. যত্নবান
প্রেমিকা যদি আপনার প্রতি, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান থাকে তাঞলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। একজন যত্নশীল প্রেমিকা  সারাজীবন আপনার ভালোথাকার পেছনে ভূমিকা পালন করবে এবং আপনাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবে। আপনার ভালোলাগা-খারাপলাগা সম্পর্কে যেনে সেভাবেই আপনাকে খুসি করতে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।


৬. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা
প্রেমিকা যদি আপনাকে নিয়ে তার কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ভাবে তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। এমনটা হলে বুঝবেন য়ে সে সবসময় তার পাশে আপনাকে চায় এবং নিজেকেও আপনার পশে রাখতে চায়। এমন প্রেমিকারা আপনারা একটি সুন্দর ও সুখী জীবন দিতে চায় এবং সেরকম স্বপ্ন দেখে।


৭. আপনার পরিবারকে ভালোবাসে
সঠিক প্রেমিকার অন্যতম গুন থাকবে যে সে আপনার পরিবারের সদস্যদের পছন্দ করবে এবং তাদের যথাযথ সম্মান করবে। আপনার প্রেমিকার মাঝে এমন গুন থাকলে তাকে অবশ্যই বিয়ে করতে পারেন।

৮.আপনাকে সংশোধন করাতে চাওয়া 
আপনার প্রেমিকা যদি সবসময় আপনার ভালো চেয়ে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়তে চায় তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার কোন খারাপ অভ্যাস থাকলে সেটি পরিত্যাগে সাহায্য করে যদি আপনাকে ভালেঅ মানুষ হতে উৎসহ দেয় তবে তাকে হারাতে দেওয়া আপনার অনেক বড় ভুল হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
৩৮৩ Time View

সঙ্গীর মধ্যে যে ৮টি লক্ষণ দেখলে বিয়ে করবেন

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

সবুজদেশ ডেস্ক:

মনের মানুষটিকে সারাজীবনের জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া মত আনন্দ আর নেই। ভালোবেসে বিয়ে করে একসঙ্গে সারাজীবন কাটানোর গল্প অনেক শোনা যায়।

এমন রোমান্টিক গল্প শুনে অনেকের হৃদয়পটে ভেসে আসে প্রেমিকার অবয়ব।  সে আপনার জীবনসঙ্গী হবে কি-না, আনার প্রতি যত্নবান কি-না, আপনার পরিবারকে সম্মান করে কি-না অথবা আপনার পাশে সবসময় থাকবে কি-না এমন অনেক প্রশ্ন-ও আসতে পারে আপনার মনে। 

প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে যদি আপনার মনে এ প্রশ্নগুলো আসে আর সেগুলোর ইতিবাচক উত্তর যদি আপনি পান, তাহলে সে প্রেমিকাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন।

জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর এক প্রতিবেদনে এমন কিছু লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা দেখলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে-

১. সাপোর্ট দেয়া
প্রেমিকা যদি আপনার সামর্থ্যের ওপর আস্থা রেখে আপনাকে অনেক ভালোবাসে তাহলে অবশ্যই তাকে বিয়ে করতে পারেন। যখন কেউ আপনার সমর্থনে না থেকে আপনাকে ব্যর্থ ভাবে, কিন্তু আপনার প্রেমিকা আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছে তাহলে তাকেই আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া উচিৎ। সে আপনার জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

২. আস্থা রাখা
প্রতিটি সম্পর্কেই একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। এর ভিত্তিতেই নির্ভর করে সম্পর্কের মূল শক্তি। আপনার প্রেমিকা আপনাকে বিশ্বাস করে, আপনার ওপর আস্থা রেখে এটা মানে যে আপনিই তার সব, তাহলে তাকেই আপনার বিয়ে করা উচিৎ। 

৩. প্রশংসা করে ও উৎসাহ দেয়
প্রেমিকা আপনার প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে যদি স্বাগত জানায় এবং আপনাকে উৎসাহ দেয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গী করা উচিৎ আপনার। এমন প্রেমিকা বিশ্বাস করে যে আপনি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রমই করছেন, সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তাই সে আপনার প্রচেষ্টার ব্যাপারে কখনও অভিযোগ না করে আপনাকে সাপোর্ট করবে এবং আপনার জীবনের লক্ষ অর্যনে ভূমিকা রাখবে।

৪. আপনার বন্ধুকেও বন্ধু মনে করা
আপনার বন্ধুমহলকে যদি আপনার সঙ্গী চেনে ও তাদের সঙ্গে যদি প্রেমিকাও ভালো আচরন করে তাহলে সেই প্রেমিকাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার বন্ধুমহলে করা কিছু পাগলামির বিচার না করে মেনে নিলে তাকে আপান জীবনসঙ্গী করতে পারেন। 

৫. যত্নবান
প্রেমিকা যদি আপনার প্রতি, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান থাকে তাঞলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। একজন যত্নশীল প্রেমিকা  সারাজীবন আপনার ভালোথাকার পেছনে ভূমিকা পালন করবে এবং আপনাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবে। আপনার ভালোলাগা-খারাপলাগা সম্পর্কে যেনে সেভাবেই আপনাকে খুসি করতে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।


৬. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা
প্রেমিকা যদি আপনাকে নিয়ে তার কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ভাবে তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। এমনটা হলে বুঝবেন য়ে সে সবসময় তার পাশে আপনাকে চায় এবং নিজেকেও আপনার পশে রাখতে চায়। এমন প্রেমিকারা আপনারা একটি সুন্দর ও সুখী জীবন দিতে চায় এবং সেরকম স্বপ্ন দেখে।


৭. আপনার পরিবারকে ভালোবাসে
সঠিক প্রেমিকার অন্যতম গুন থাকবে যে সে আপনার পরিবারের সদস্যদের পছন্দ করবে এবং তাদের যথাযথ সম্মান করবে। আপনার প্রেমিকার মাঝে এমন গুন থাকলে তাকে অবশ্যই বিয়ে করতে পারেন।

৮.আপনাকে সংশোধন করাতে চাওয়া 
আপনার প্রেমিকা যদি সবসময় আপনার ভালো চেয়ে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়তে চায় তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার কোন খারাপ অভ্যাস থাকলে সেটি পরিত্যাগে সাহায্য করে যদি আপনাকে ভালেঅ মানুষ হতে উৎসহ দেয় তবে তাকে হারাতে দেওয়া আপনার অনেক বড় ভুল হবে।