ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনাস্থল নিয়ে ২ ওসির ‘ঠেলাঠেলি’

 

সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ তৈরি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (৮ মার্চ) রাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের শাহাপুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ডাকাতির ঘটনায় আহত কোটচাঁদপুর পৌরসভার আদর্শপাড়া এলাকার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেনকে (৩০) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সোহাগ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের চাকা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ জন এসে আমার মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ে কোপ দেয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমার সবকিছু ছিনিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চিৎকার করতে থাকলে অনেকক্ষণ পর একজন এসে আমার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের সহায়তায় হাসপাতালে আসি।

সোহাগের দাবি, ‘স্থানীয়রাও এই ঘটনায় জড়িত। এই এলাকায় এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হাতে শটগানও ছিল।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সেলিম আক্তার জানান, ‘সোহাগের পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

এই ডাকাতির ঘটনা দুটি থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দুই থানার ওসি একে অপরের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছেন।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় পড়ে। আমাদের পুলিশও সেখানে গেছে।

অন্যদিকে, জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস দাবি করেন, ‘ঘটনাস্থল ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় পড়েছে।

জীবননগর উপজেলার শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি, শাহাপুর মাঠে যে স্থানে ডাকাতি হয়েছে, সেটি কোটচাঁদপুরের মধ্যে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

সবুজদেশ/এসইউ

জনপ্রিয়

সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনাস্থল নিয়ে ২ ওসির ‘ঠেলাঠেলি’

Update Time : ০৫:২৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ তৈরি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (৮ মার্চ) রাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের শাহাপুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ডাকাতির ঘটনায় আহত কোটচাঁদপুর পৌরসভার আদর্শপাড়া এলাকার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেনকে (৩০) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সোহাগ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের চাকা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ জন এসে আমার মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ে কোপ দেয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমার সবকিছু ছিনিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চিৎকার করতে থাকলে অনেকক্ষণ পর একজন এসে আমার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের সহায়তায় হাসপাতালে আসি।

সোহাগের দাবি, ‘স্থানীয়রাও এই ঘটনায় জড়িত। এই এলাকায় এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হাতে শটগানও ছিল।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সেলিম আক্তার জানান, ‘সোহাগের পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

এই ডাকাতির ঘটনা দুটি থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দুই থানার ওসি একে অপরের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছেন।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় পড়ে। আমাদের পুলিশও সেখানে গেছে।

অন্যদিকে, জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস দাবি করেন, ‘ঘটনাস্থল ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় পড়েছে।

জীবননগর উপজেলার শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি, শাহাপুর মাঠে যে স্থানে ডাকাতি হয়েছে, সেটি কোটচাঁদপুরের মধ্যে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

সবুজদেশ/এসইউ