ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সব আমার মায়ের দোষ’, আমরা চলে যাচ্ছি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠ থেকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করা স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন-সদর উপজেলার তালতরা হরিপুর গ্রামের চুনু শেখের ছেলে রমজান হোসেন রুজিব (২০) ও তার স্ত্রী হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিন্নি গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুন (১৮)। ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে গ্রামের মাঠে রুজিব ও মুক্তা খাতুনের ঝুলে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বিল্লাল হোসেন জানান, গাছের সাথে মেয়ের ওড়না দিয়ে দিয়ে স্বামী ও স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ২ মাস পুর্বে তারা বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটি তার বা হাতে মেহেদি দিয়ে লিখেছে ‘সব আমার মায়ের দোষ’, আমরা চলে যাচ্ছি।

Tag :

‘সব আমার মায়ের দোষ’, আমরা চলে যাচ্ছি

Update Time : ১১:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠ থেকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করা স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন-সদর উপজেলার তালতরা হরিপুর গ্রামের চুনু শেখের ছেলে রমজান হোসেন রুজিব (২০) ও তার স্ত্রী হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিন্নি গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুন (১৮)। ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে গ্রামের মাঠে রুজিব ও মুক্তা খাতুনের ঝুলে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বিল্লাল হোসেন জানান, গাছের সাথে মেয়ের ওড়না দিয়ে দিয়ে স্বামী ও স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ২ মাস পুর্বে তারা বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটি তার বা হাতে মেহেদি দিয়ে লিখেছে ‘সব আমার মায়ের দোষ’, আমরা চলে যাচ্ছি।