ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি ত্রাণ না পেয়ে সড়কে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

Reporter Name

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোরে করোনার প্রভাবে উপার্জনহীন মানুষ সরকারি ত্রাণ না পেয়ে রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। এসময় অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে দ্রুত ত্রাণ সহায়তদার দাবি জানিয়েছেন তারা। (১৫ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ করে এ দাবি জানান। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান তালিকা করে খাদ্য সহায়তা বাড়ি পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাবু নামে ইজিবাইক চালক বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে আমরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান নিয়েছি। কোনো কাজ করতে পারছি না। এদিকে আমাদের ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কোনো খোঁজ রাখছেন না। তাই আমরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

পুলেরহাট এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে চাঁচড়া ইউনিয়ন থেকে এই এলাকায় কিছু মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু এর পর থেকে আর কোনো খবর নেই। শুনেছি তারা পরিচিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে। সরকারের ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করছে জনপ্রতিনিধিরা। তা হলে আমরা গরিব মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়বো।

এ ব্যাপারে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে যে ত্রাণ পাচ্ছি পর্যায়ক্রমে সবার মধ্যে বিতরণ করছি। বিক্ষোভকারীরা সবাই একসঙ্গে ত্রাণ চায়, যা সম্ভব নয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়া হয়েছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন ইউনিয়ন পরিষদে এখন পর্যন্ত ৪শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখানে একশ্রেণীর লোকের ইন্ধনে কিছু লোক বিক্ষোভ করেছে। বরাদ্দ কম থাকায় এই মুহূর্তে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চালালে খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে মাইকিং করে সকলকে ঘরে ফিরে যেতে অনুরোধ করি। এরপরও বিক্ষোভকারীরা পিছু না হটলে তালিকা করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিলে সকলই সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে যান। তিনি আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে বঞ্চিত সবাইকে সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে এবং ত্রাণ নিয়ে কেউ কোন অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:২০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
৩৫৩ Time View

সরকারি ত্রাণ না পেয়ে সড়কে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ১০:২০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোরে করোনার প্রভাবে উপার্জনহীন মানুষ সরকারি ত্রাণ না পেয়ে রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। এসময় অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে দ্রুত ত্রাণ সহায়তদার দাবি জানিয়েছেন তারা। (১৫ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ করে এ দাবি জানান। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান তালিকা করে খাদ্য সহায়তা বাড়ি পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাবু নামে ইজিবাইক চালক বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে আমরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান নিয়েছি। কোনো কাজ করতে পারছি না। এদিকে আমাদের ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কোনো খোঁজ রাখছেন না। তাই আমরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

পুলেরহাট এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে চাঁচড়া ইউনিয়ন থেকে এই এলাকায় কিছু মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু এর পর থেকে আর কোনো খবর নেই। শুনেছি তারা পরিচিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে। সরকারের ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করছে জনপ্রতিনিধিরা। তা হলে আমরা গরিব মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়বো।

এ ব্যাপারে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে যে ত্রাণ পাচ্ছি পর্যায়ক্রমে সবার মধ্যে বিতরণ করছি। বিক্ষোভকারীরা সবাই একসঙ্গে ত্রাণ চায়, যা সম্ভব নয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়া হয়েছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন ইউনিয়ন পরিষদে এখন পর্যন্ত ৪শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখানে একশ্রেণীর লোকের ইন্ধনে কিছু লোক বিক্ষোভ করেছে। বরাদ্দ কম থাকায় এই মুহূর্তে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চালালে খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে মাইকিং করে সকলকে ঘরে ফিরে যেতে অনুরোধ করি। এরপরও বিক্ষোভকারীরা পিছু না হটলে তালিকা করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিলে সকলই সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে যান। তিনি আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে বঞ্চিত সবাইকে সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে এবং ত্রাণ নিয়ে কেউ কোন অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।