সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ফটো।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসকালে মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের বিশেষ পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দার অনেকটাই বাংলাদেশ এড়াতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনকটাই এড়াতে পেরেছে এবং মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের বিশেষ পদক্ষেপের ফলে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সহ অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সাংসদ হাবিবর রহমান এবং জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নানের পৃথক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিচার্স এর ওয়াল্ড ইকোনোমিক লিগ টেবল ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। এই রিপোর্টে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কি হারে বাড়বে তারই পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনকটাই এড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই তার সরকার সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, যার ফলে এ পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যুর হার এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অধিকতর সাফল্য দেখাতে পেরেছে।

তিনকোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দবলেন,‘শিগগিরই করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে।’

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারির অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশে এসে আটকে পড়া ও চাকুরিচ্যুত প্রবাসীদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বিভীন্ন কাযক্রম গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে কোভিডকালে চাকুরিচ্যুত প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোনে যোগাযোগসহ পত্র প্রেরণ করা হয়। এতে তিনটি বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয়। চাকরিচ্যুত প্রবাসী কর্মীদের ন্যূনতম খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, চাকুরিচ্যুতদের যাবতীয় দেনা পাওনা পরিশোধসহ ছয় মাসের বেতনভাতা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো এবং বিদেশে কর্মসস্থান ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ওই দেশগুলোতে কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্ড ফান্ড গঠনের সুপারিশ।

সূত্র : বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here