ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁইজির কৃপা লাভে আখড়া বাড়িতে লাখো ভক্তানুরাগী

Reporter Name

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

সাধু সঙ্গ, দোল পূর্ণিমায় ফকির লালন সাঁইজি তাঁর জীবদ্দশায় অষ্ট প্রহরব্যাপী ৫ঘরের শিষ্যদের নিয়ে করতেন এই সাধু সঙ্গ। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। লালন সাঁইয়ের ভক্ত অনুসারীরা দোল পূর্ণিমার রাতে পালন করে আসছেন এই উৎসব।

এবার সংস্কৃতিমন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়োজনে কুষ্টিয়া ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে শুরু হয়েছে তিনদিনের স্মরণোৎসব।

সাধুরা বলছেন,সাঁইজির কৃপা পেতে আখড়াবাড়িতে এসেছেন লাখো ভক্তানুরাগী। সাঁইজির এই অহিংস বাণী আত্মস্থ করলে মিলবে মানব মুক্তি। সন্ধ্যায় গুরুকার্য চালজল দিয়ে শুরু, এর পর রাতে অধিবাসসেবা, রাতভর চলে গুরু অর্চনা, সাধুদের মধ্যে ভাব বিনিময়। সাঁইজির গানে গানে কখন যে রাত পেরিয়ে যায় তা বুঝেও উঠতে পারেন না। সাঁইজি ফকির লালন সাঁই তাঁর জীবদ্দশায় শিষ্যদের নিয়ে অষ্ট প্রহরব্যাপী ৫ ঘরের শিষ্যদের নিয়ে এভাবেই দোল পূর্ণিমায় মেতে উঠতেন দোল উৎসবে।

সাংবাদিক ও লালন গবেষক সোহেল রানা বলেন,জ্ঞান লাভের রাস্তাটাই হল সাধু সঙ্গ। সাধু সঙ্গ মানেই বাউলদের মিলন স্থল। লালন দর্শনকে যদি প্রত্যেকের মনের গভীরে আরো গভীরভাবে রাখা যায় তবেই সৎ সঙ্গ থেকে সাধু সঙ্গের উজ্জল দিকটি ফুটে উঠবে এমনটাই মনে করেন তিনি।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, কালের পরিক্রমায় দোল উৎসব এখন স্মরণোৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো ভক্তানুরাগী ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার এই সাঁইজির ধামে এই স্মরণোৎসবে। মুলত সাঁইজির মাঝে কিছু একটা পেতে, কিংবা খুঁজতেই আসেন তারা।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
৫৩২ Time View

সাঁইজির কৃপা লাভে আখড়া বাড়িতে লাখো ভক্তানুরাগী

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

সাধু সঙ্গ, দোল পূর্ণিমায় ফকির লালন সাঁইজি তাঁর জীবদ্দশায় অষ্ট প্রহরব্যাপী ৫ঘরের শিষ্যদের নিয়ে করতেন এই সাধু সঙ্গ। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। লালন সাঁইয়ের ভক্ত অনুসারীরা দোল পূর্ণিমার রাতে পালন করে আসছেন এই উৎসব।

এবার সংস্কৃতিমন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়োজনে কুষ্টিয়া ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে শুরু হয়েছে তিনদিনের স্মরণোৎসব।

সাধুরা বলছেন,সাঁইজির কৃপা পেতে আখড়াবাড়িতে এসেছেন লাখো ভক্তানুরাগী। সাঁইজির এই অহিংস বাণী আত্মস্থ করলে মিলবে মানব মুক্তি। সন্ধ্যায় গুরুকার্য চালজল দিয়ে শুরু, এর পর রাতে অধিবাসসেবা, রাতভর চলে গুরু অর্চনা, সাধুদের মধ্যে ভাব বিনিময়। সাঁইজির গানে গানে কখন যে রাত পেরিয়ে যায় তা বুঝেও উঠতে পারেন না। সাঁইজি ফকির লালন সাঁই তাঁর জীবদ্দশায় শিষ্যদের নিয়ে অষ্ট প্রহরব্যাপী ৫ ঘরের শিষ্যদের নিয়ে এভাবেই দোল পূর্ণিমায় মেতে উঠতেন দোল উৎসবে।

সাংবাদিক ও লালন গবেষক সোহেল রানা বলেন,জ্ঞান লাভের রাস্তাটাই হল সাধু সঙ্গ। সাধু সঙ্গ মানেই বাউলদের মিলন স্থল। লালন দর্শনকে যদি প্রত্যেকের মনের গভীরে আরো গভীরভাবে রাখা যায় তবেই সৎ সঙ্গ থেকে সাধু সঙ্গের উজ্জল দিকটি ফুটে উঠবে এমনটাই মনে করেন তিনি।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, কালের পরিক্রমায় দোল উৎসব এখন স্মরণোৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো ভক্তানুরাগী ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার এই সাঁইজির ধামে এই স্মরণোৎসবে। মুলত সাঁইজির মাঝে কিছু একটা পেতে, কিংবা খুঁজতেই আসেন তারা।