ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতাকর্মীদের হামলা

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে।

 

সাতক্ষীরার তালায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার নেতৃত্বে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে আক্রান্ত হয়েছেন দুজন সাংবাদিক।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তালার রহিমাবাদ গ্রামে এবং সন্ধ্যায় তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনের হামলায় আহত হন তারা।

হামলায় আহত হয়ে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন রহিমাবাদ গ্রামের আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম। তার ছেলে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।

তিনি বলেন, “গ্রামের মধ্যে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠকে বসাবসি হয়। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দেবে না বলে বাঁধা দেন। আমার বাবা প্রতিবাদ করলে বাবা-মা ও আমাকে দলবল নিয়ে মারপিট করেন তারা। মা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলাকারীরা সবাই জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থক।”

সাংবাদিক রাজুর মাকে সন্ধ্যায় তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান খাঁন নাজমুল হুসাইন নামে একজন সাংবাদিক। সেখানে পৌঁছামাত্রই তার ওপর হামলা হয়।

হামলার শিকার খাঁন নাজমুল বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। সেখানে পৌঁছামাত্রই জরুরি বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য ও দলটি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান এবং উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন জামায়াতের কর্মী-সমর্থক আতর্কিতভাবে হামলা চালান। তারা আমাকে মারপিট করেন।”

৫ আগস্টের পর যুব জামায়াতের নেতা রেন্টুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন খাঁন নাজমুল।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রেন্টু বলেন, “পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।

জামায়াত নেতা মশিয়ার রহমান বলেন, “সাংবাদিক নাজমুলকে আমি বলেছি, এটা পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা, পত্রপত্রিকায় দিয়ে থানা-পুলিশ করার দরকার নেই। এ সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিল, তারা কামেরা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে কিছুটা ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে।”

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দুপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেই জেরে সন্ধ্যায় আবার মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

মহেশপুরে নারী ফুটবল ম্যাচে দর্শকদের হামলা

সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতাকর্মীদের হামলা

Update Time : ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

 

সাতক্ষীরার তালায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার নেতৃত্বে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে আক্রান্ত হয়েছেন দুজন সাংবাদিক।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তালার রহিমাবাদ গ্রামে এবং সন্ধ্যায় তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনের হামলায় আহত হন তারা।

হামলায় আহত হয়ে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন রহিমাবাদ গ্রামের আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম। তার ছেলে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।

তিনি বলেন, “গ্রামের মধ্যে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠকে বসাবসি হয়। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দেবে না বলে বাঁধা দেন। আমার বাবা প্রতিবাদ করলে বাবা-মা ও আমাকে দলবল নিয়ে মারপিট করেন তারা। মা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলাকারীরা সবাই জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থক।”

সাংবাদিক রাজুর মাকে সন্ধ্যায় তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান খাঁন নাজমুল হুসাইন নামে একজন সাংবাদিক। সেখানে পৌঁছামাত্রই তার ওপর হামলা হয়।

হামলার শিকার খাঁন নাজমুল বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। সেখানে পৌঁছামাত্রই জরুরি বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য ও দলটি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান এবং উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন জামায়াতের কর্মী-সমর্থক আতর্কিতভাবে হামলা চালান। তারা আমাকে মারপিট করেন।”

৫ আগস্টের পর যুব জামায়াতের নেতা রেন্টুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন খাঁন নাজমুল।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রেন্টু বলেন, “পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।

জামায়াত নেতা মশিয়ার রহমান বলেন, “সাংবাদিক নাজমুলকে আমি বলেছি, এটা পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা, পত্রপত্রিকায় দিয়ে থানা-পুলিশ করার দরকার নেই। এ সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিল, তারা কামেরা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে কিছুটা ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে।”

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দুপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেই জেরে সন্ধ্যায় আবার মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

সবুজদেশ/এসএএস