ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি

Reporter Name

সম্ভাব্য সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব ব্যাংকের জন্য এই সতর্কতা জারি করে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে এ কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হ্যাকারেরা বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। হ্যাকারেরা সেই দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থান করে পেমেন্ট সিস্টেমে ঢুকে অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

বার্তায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। তাই এই দেশেও এমন সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব ব্যাংককে এর আগে সাইবার হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য বলা হচ্ছে।

হ্যাকারেরা ভারতের পুনেভিত্তিক কসমস ব্যাংক থেকে গত ১১ থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে ৯৪ কোটিরও বেশি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে। ভিসা ও রুপে ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনো ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের জন্য যে সংকেতলিপি (সুইফট কোড) রয়েছে, সেটি ব্যবহার করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ চুরি করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি। এই চুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড ব্যবহার করা হয়েছিল।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮
১০১৬ Time View

সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি

আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮

সম্ভাব্য সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব ব্যাংকের জন্য এই সতর্কতা জারি করে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে এ কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হ্যাকারেরা বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। হ্যাকারেরা সেই দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থান করে পেমেন্ট সিস্টেমে ঢুকে অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

বার্তায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। তাই এই দেশেও এমন সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব ব্যাংককে এর আগে সাইবার হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য বলা হচ্ছে।

হ্যাকারেরা ভারতের পুনেভিত্তিক কসমস ব্যাংক থেকে গত ১১ থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে ৯৪ কোটিরও বেশি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে। ভিসা ও রুপে ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনো ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের জন্য যে সংকেতলিপি (সুইফট কোড) রয়েছে, সেটি ব্যবহার করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ চুরি করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি। এই চুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড ব্যবহার করা হয়েছিল।