মাগুরাঃ

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।

এর মাঝে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে ওই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এতে তার নিজ জেলা মাগুরায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

সাকিবের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংসহ তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিল ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে সাকিবের না জানানোর ঘটনা।

এদিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় দিনভর বনানীর বাসায় কার্যত নিজেকে বন্দি করে রাখেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া তার নিজ জেলার ক্রীড়ানুরাগী এবং ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা কুটিল, মা শিরিন রেজা, মামা বাবলুর রহমান কাউকেই মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সাকিব ভক্ত মাগুরার কলেজ ছাত্র তাছিন জামান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, সাকিব ক্রিকেটের প্রাণ। আমরা আছি তার সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার পাশে থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণাতে আমরা খুশি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোকবুল হোসেন বলেন, ভুল ত্রুটি মানুষেরই হয়ে থাকে। সাকিব আমাদের দেশের গর্ব। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগই উঠুক না কেন, সে নিজেই সেটি স্বীকার করেছে। সাকিবের অপরাধকে মার্জনা করা উচিত। এর অন্যথা হলে দেশের ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, যে খেলাটাকে আমি ভালোবাসি, সেটিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় দুঃখিত।

মঙ্গলবার সাকিবের উদ্ধৃতি দিয়ে আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছেন, আমি যে খেলাটাকে ভালোবাসি, সেটিতে নিষিদ্ধ হওয়া আমি দুঃখিত। কিন্তু ম্যাচ ফ্রিক্সিংয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে রিপোর্ট না করায় আমাকে যে শাস্তি দেয়া হয়েছে, তা আমি সম্পূর্ণভাবে মেনে নিয়েছি।

বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আরও বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে আইসিসি ও অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ) খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরশীল। সেই প্রেক্ষাপটে আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি।

জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) না জানানোর অপরাধে সাকিবকে ২ বছর নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

কিন্তু ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় সাকিবের ওপর সন্তুষ্ট আইসিসি। নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় আইসিসির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার শর্তে সাকিবের শাস্তি এক বছর স্থগিত করেছে আইসিসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here