সাতক্ষীরায় একরাতে করোনার উপসর্গে দুইজনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শনিবার ভোর ৬টার দিকে দুইজন মারা যান। তারা দুজনই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের কাথন্ডা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে পিয়ার আলী (৩৫)। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
আরেকজন হলেন, তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী গাজী শহিদুল ইসলাম (৬০)। তিনি তালা বাজারের গাজী হার্ডওয়ারের মালিক।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ মে গাজী শহিদুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৭ মে ভর্তি হন পিয়ার আলী। তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পেয়ার আলী শুক্রবার রাত ৮টায় ও শহিদুল ইসলাম শনিবার সকাল ৬টায় মারা যায়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, দুইজনের মধ্যে পেয়ার আলীর এ্যাজমা ও শহিদুল ইসলামের নিউজমোনিয়া ছিল। তাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনার উপসর্গ ছিল। নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। করোনা হয়নি না এমন বিষয়টি আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তাদের পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আট জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের দাফন করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের করোনা বিষয়ক মুখপাত্র ডা. জয়ন্ত কুমার বলেন, জেলায় আজ (শনিবার) পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দশ জন। নুমনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে ৮৩৫ জনের। রিপোর্ট হাতে এসেছে ৬১৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিনজন।