ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা সীমান্তে জমি চাষে বিএসএফের বাধা

 

সাতক্ষীরার লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তে নজরুল ইসলাম গাজী নামের এক কৃষককে ধান চাষে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে বিজিপি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের ৩ নং মেইন পিলারের ২ ও ৩ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী শূন্যরেখায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

পতাকা বৈঠকে চার সদস্যের বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার ৩৩ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল আশরাফুল হক।

আর চার সদস্যবিশিষ্ট বিএসএফের নেতৃত্বে দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ১৫২ (বিএসএফ) ব্যাটালিয়নের কমান্ড রমেশ কুমার।

লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের শাহীন গাজী জানান, তার বাবা নজরুল গাজী তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ফসলের চাষ করে আসছেন। গত শনিবার বিকেলে দুজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চাষ করা যাবে না বলে বাধা দেন। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করেন।

বিষয়টি সদর উপজেলার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।

সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের সুবেদার জহির আহম্মেদ ও ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, পতাকা বৈঠকে সীমাান্তের অমীমাংসিত জমি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের সার্ভেয়ারের নিয়ে জমি মাপা হবে। মাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই (নো-ম্যানস ল্যান্ডে) শূন্যরেখা এলাকায় নির্মাণকাজ না চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।

সবুজদেশ/এসইউ
About Author Information

সাতক্ষীরা সীমান্তে জমি চাষে বিএসএফের বাধা

Update Time : ০৮:০০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

 

সাতক্ষীরার লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তে নজরুল ইসলাম গাজী নামের এক কৃষককে ধান চাষে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে বিজিপি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের ৩ নং মেইন পিলারের ২ ও ৩ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী শূন্যরেখায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

পতাকা বৈঠকে চার সদস্যের বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার ৩৩ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল আশরাফুল হক।

আর চার সদস্যবিশিষ্ট বিএসএফের নেতৃত্বে দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ১৫২ (বিএসএফ) ব্যাটালিয়নের কমান্ড রমেশ কুমার।

লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের শাহীন গাজী জানান, তার বাবা নজরুল গাজী তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ফসলের চাষ করে আসছেন। গত শনিবার বিকেলে দুজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চাষ করা যাবে না বলে বাধা দেন। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করেন।

বিষয়টি সদর উপজেলার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।

সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের সুবেদার জহির আহম্মেদ ও ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, পতাকা বৈঠকে সীমাান্তের অমীমাংসিত জমি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের সার্ভেয়ারের নিয়ে জমি মাপা হবে। মাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই (নো-ম্যানস ল্যান্ডে) শূন্যরেখা এলাকায় নির্মাণকাজ না চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।

সবুজদেশ/এসইউ