ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা সীমান্তে পুশইনকৃত ২৩ বাংলাদেশিকে কুড়িগ্রামে স্থানান্তর

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০১:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে।

 

সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ইমরান হোসেন সদর থানা থেকে তাদেরকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন।

এসব বাংলাদেশী নাগরিকরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের জাবেদ আলী, জাবেদ আলীর স্ত্রী শিউলী বেগম, জাবেদের পুত্র সুমন হোসেন, নুর আলী ও সজীব, সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশি বেগম, নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র মোশাররফ হোসেন, মোশারফ হোসেন স্ত্রী লাইলি বেগম, মোশাররফের কন্যা মোর্শেদা খাতুন ও মিম খাতুন, মোশাররফের পুত্র লুৎফর রহমান লাবিব, একই জেলার মোক্তারকুটি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল মান্নাফ, আব্দুল মান্নাফের স্ত্রী আনজুয়ারা, কন্যা সুমাইয়া খাতুন, পুত্র আব্দুল্লাহ, বড়ভিটা গ্রামের মমিন আলীর পুত্র মজিবর রহমান, মজিবর রহমানের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, তাজুল ইসলামের কন্যা শাফিরানা, দুলালী ও পুত্র শাকিল এবং ঝালকাঠি জেলার দারকী গ্রামের আব্দুল গফফারের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাত ৫ টার দিকে ভারতীয় বিএসএফ কইজুরী ক্যাম্পের সদস্যরা খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশীকে পুশইন করে। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু। এসময় কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে পাঠায়। বিকালে তাদেরকে সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি বাসযোগে তাদের সবাইকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন বলেন, ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক পুশইনকৃত ২৩ বাংলাদেশী নাগরিককে ২৭ মে বিকালে সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটিতে। কুড়িগ্রাম যেহেতু সাতক্ষীরা থেকে অনেক দূরে এজন্য একটি বাসে করে তাদেরকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহিনুর চৌধুরী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক ও সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/এসইউ

সাতক্ষীরা সীমান্তে পুশইনকৃত ২৩ বাংলাদেশিকে কুড়িগ্রামে স্থানান্তর

Update Time : ০১:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ইমরান হোসেন সদর থানা থেকে তাদেরকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন।

এসব বাংলাদেশী নাগরিকরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের জাবেদ আলী, জাবেদ আলীর স্ত্রী শিউলী বেগম, জাবেদের পুত্র সুমন হোসেন, নুর আলী ও সজীব, সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশি বেগম, নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র মোশাররফ হোসেন, মোশারফ হোসেন স্ত্রী লাইলি বেগম, মোশাররফের কন্যা মোর্শেদা খাতুন ও মিম খাতুন, মোশাররফের পুত্র লুৎফর রহমান লাবিব, একই জেলার মোক্তারকুটি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল মান্নাফ, আব্দুল মান্নাফের স্ত্রী আনজুয়ারা, কন্যা সুমাইয়া খাতুন, পুত্র আব্দুল্লাহ, বড়ভিটা গ্রামের মমিন আলীর পুত্র মজিবর রহমান, মজিবর রহমানের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, তাজুল ইসলামের কন্যা শাফিরানা, দুলালী ও পুত্র শাকিল এবং ঝালকাঠি জেলার দারকী গ্রামের আব্দুল গফফারের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাত ৫ টার দিকে ভারতীয় বিএসএফ কইজুরী ক্যাম্পের সদস্যরা খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশীকে পুশইন করে। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু। এসময় কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে পাঠায়। বিকালে তাদেরকে সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি বাসযোগে তাদের সবাইকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন বলেন, ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক পুশইনকৃত ২৩ বাংলাদেশী নাগরিককে ২৭ মে বিকালে সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটিতে। কুড়িগ্রাম যেহেতু সাতক্ষীরা থেকে অনেক দূরে এজন্য একটি বাসে করে তাদেরকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহিনুর চৌধুরী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক ও সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/এসইউ