সবুজদেশ ডেক্সঃ উত্তরা রাজউক কলেজের মেধাবী ছাত্র গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করে ভর্তি হন আইন বিভাগে। যেকেউ সেকোন সমস্যায় তার কাছে যেতে পারেন বিনা বাঁধায়, নির্ভয়ে। এখনো পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় আড়াশইত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করেছে। মানবিক কাজে তাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন তার মা।

মানবিক গুণ ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার কারণে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান গোলাম রাব্বানীকে। তিনি বিগত কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পাশে দাঁড়ান নিঃস্বার্থে। মানবিক কাজে সর্বদা নিয়োজিত। সুবক্তা, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা। ঢাবির ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে শক্তিশালী ভূমিকা। মেধাবী, তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম হয়ে ঢাবির আইনে ভর্তি হন। পরিশ্রমী এবং কর্মী প্রিয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসের নিরাপদ জায়গা। ফ্রেশ ইমেজের অধিকারী, মানবিক ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত। কলাম লেখায় সিদ্ধহস্ত, আপোসহীন স্পস্টভাষী।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে অনড়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই কারো না কারো ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন। ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতির ব্র্যান্ড ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আর্থিক সহায়তা, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য গোলাম রাব্বানী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।এসব কারনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। এমনকি বিগত কোন সময়েই ক্যাম্পাসে তিনি কোন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হননি।

ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের সরকারি চাকরিজীবী বাবা এম এ রশিদ আজাদ সেটেলমেন্টের একজন কর্মকর্তা। বাবার চাকরির সুবাধে গোলাম রাব্বানীর ছোটবেলা কেটেছে গোপালগঞ্জ শহরে। শহরের অনির্বাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে বাবার বদলিজনিত কারণে তিনি ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন ঢাকার উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন।উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনাকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে। মিষ্টভাষী ও সুবক্তা হিসেবে অল্পদিনে তিনি দলীয় নেতাদের নজর কাড়েন। অত্যন্ত বিনয়ী ও সদালাপের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গোলাম রাব্বানী। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থাকাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও আপদে-বিপদে সর্বদা এগিয়ে আসতেন গোলাম রাব্বানী। তিনি ঢাকার বিভিন্ন বস্তির ছিন্নমূল শিশুদের পড়াশোনার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছেন। সম্প্রতি মাদারীপুরের শিবচরের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতে মানবিক শাখায় এ প্লাস পাওয়া মেধাবী ছাত্রী কাকলীকে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে অবদান রাখায় ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে সাহসী পুরস্কার লাভ করেছেন।

মুখ দিয়ে লিখে অনার্স পাশ করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর শারীরিক প্রতিবন্ধী অদম্য মেধাবী হাফিজুর এর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। এখানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করনে গোলাম রাব্বানী।

এছাড়াও বগুড়ার রিকশাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন সাথে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। সেই সাথে পঙ্গুত্ব বরণকরা সেই রিকশাচালকের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করায় দায়িত্ব নেন। আর কদিন আগেই ছেলে ও পুত্রবধুর কাছে নির্যাতনের শিকার এ বৃদ্ধা মায়েরও ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রলীগের অন্যতম জনপ্রিয় এই নেতা। এ রকম শত শত মানবতার কাজ করে তৃণমূল থেকে প্রবীন এমনকি দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন।গোলাম রাব্বানী পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান।

গোলাম রাব্বানীর মা মরহুমা তাছলিমা বেগম ছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম সামশুল হক মুন্সীর বড় মেয়ে।মরহুম সামশুল হক মুন্সী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং শেখ পরিবারের একজন অন্যতম সুহৃদ। মাদারীপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় সামশুল হক মুন্সীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম ছিলেন রাজৈর কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক (১৯৮৩-১৯৯১)।

তিনি নব্বয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও এ এলাকায় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম গত ১৯ জুলাই আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন।অপরদিকে গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশিদ আজাদ ভূমি মন্ত্রালয়ের অধীনে কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি রাজৈর কেজেএস হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন।

সে সুবাদে তিনি এলাকায় শিক্ষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। অত্যন্ত সৎ ও বিনয়ী হওয়ায় এলাকায় তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।গোলাম রাব্বানীর একমাত্র ছোট ভাই গোলাম রুহানী (সবুজ) ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার মনোনীত হয়েছেন। এর আগে তিনি ৩৪তম বিসিএসে আনসার ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here