সাবেক মেয়র খোকার বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা
সবুজদেশ রিপোর্টঃ
যে কোন সময় মারা যেতে পারেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যোন সাদেক হোসেন খোকা। কারণ ম্যানহাটনের স্লোন ক্যাটরিং ক্যানসার সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসকরা খোকার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা খোকার সব চিকিৎসাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে ওই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন খোকা। অক্সিজেন দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন নিউইয়র্কে বাবাকে দেখতে এসেছেন। ইশরাক ছাড়াও হাসপাতালে সার্বক্ষণিক রয়েছেন তার মা, এক ভাই ও বোন।
ইশরাক জানান, অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলেও দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না করতে পরিবারের সদস্যদের আগেই জানিয়ে গেছেন তার বাবা।
তিনি বলেন, বাবা আমাদের বলেছেন, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বা ম্যাডামের নির্দেশ ছাড়া দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। বাবার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন ইশরাক।
দীর্ঘদিন ওষুধ গ্রহণের ফলে সাদেক হোসেন খোকার মুখে ঘাঁ হয়ে গেছে। তিনি খাবার গ্রহণ করতে পারছিলেন না। সেজন্যে কয়েকদিন আগে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৭ অক্টোবর খোকার শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে সপরিবারে নিউইয়র্ক আছেন সাদেক হোসেন খোকা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খোকা ও তার স্ত্রী ইসমত হোসেনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে তা নবায়নের জন্য নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিসে নিয়ম মেনে জমা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হলেও পাসপোর্ট পাননি।
২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন খোকা। ২৯ নভেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ঢাকা মহানগরের মেয়র ছিলেন তিনি। বিএনপিতে বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালে একাধিকবার মন্ত্রী হন খোকা।
রাজধানীর বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিংয়ের ইজারা দুর্নীতির মামলায় খোকাসহ ৪ জনের ১০ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় খোকাসহ আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।