ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালাহর জোড়া গোলে উড়ে গেলো আর্সেনাল

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অ্যানফিল্ডে মহারণ বলেছিল একে অনেকেই। কিন্তু লিভারপুলের মাঠে গিয়ে মোহামেদ সালাহদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আর্সেনাল। জয়ের নেশায় খেলতে গিয়ে হেরে আসতে হলো ৩-১ গোলের ব্যবধানে। জোড়া করলেন মিসরীয় সুপার স্টার মোহামেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে বাকি গোলটি করেন জোয়েল মাতিপ। আর্সেনালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস তোরেইরা।

এ নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচেই জিতলো লিভারপুল। শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ১২টি জয় পেলো অল রেডরা। ইয়ুর্গেন ক্লুপের অধীনে এটা লিভারপুলের একটি রেকর্ড। ১৯৯০ সালে কেনে ডালগ্লিসের অধীনে টানা ১২টি ম্যাচ জিতেছিল তারা। ইয়ুর্গেন ক্লুপ সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন।

লিভারপুল-আর্সেনাল মহারণ শুরুর আগে গানারদের স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরি লিভারপুলের মাঠে এগিয়ে রেখেছিলেন স্বাগতিকদেরই। পাশাপাশি গত মৌসুমে সালাহদের কাছে গত ডিসেম্বরে ৫-১ গোলের হারের টাটকা স্মৃতিও মনে ছিল উনাই এমেরির।

সেই স্মৃতি নিয়েই শনিবার রাতে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের মুখোমুখি হয় গানার্সরা। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা কিছুটা আশ্বস্ত করলেও ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে ডিফেন্ডারদের উপর্যুপরি ব্যর্থতায় অ্যানফিল্ড থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল আর্সেনালকে।

প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চক্করে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল লিভারপুল। সে সুযোগে দাপট দেখায় আর্সেনাল। লিভারপুল গোলরক্ষক একটি বল ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে চলে এলে ম্যাচের ১১ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি হয় আর্সেনালের সামনে।

কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগ মোটেও কাজে লাগাতে পারেনি গানাররা। আংশিক প্রতিহত হওয়া বল পেয়ে তা ফাঁকা গোলে ঠেলতে ব্যর্থ হন আউবামেয়াং। আর্সেনালের প্রথম একাদশে এদিন অভিষেক হওয়া নিকোলাস পেপের কাছেও সুযোগ চলে আসে দলকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনিও।

অন্যদিকে প্রতি আক্রমণে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকা ইয়ুর্গেন ক্লুপের ছেলেরা সেই অর্থে গোলের ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করে উঠতে না পারলেও ৪১ মিনিটে আসল কাজটি করে দিলেন জোয়েল মাতিপ। ডান দিক থেকে আলেকজান্ডার আর্নল্ডের কর্নার থেকে গোলের তালা খোলেন তিনি। ফলে প্রথমার্থ শেষ হওয়ার আগেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

বিরতি থেকে ফিরে ডেভিড লুইসের ভুলে ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় লিভারপুল। সদ্যই চেলসি থেকে আসা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এ ক্ষেত্রে বল ধরে বক্সে আগুয়ান সালাহকে অবৈধভাবে বাধা দিলে পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। স্পট কিক নিতে আসেন সালাহ নিজেই এবং দুরন্ত গতির স্পটকিক থেকে ব্যবধান ২-০ করেন মিসরীয় স্ট্রাইকার।

৫৮ মিনিটে আবারও গোল। এবারও মোহামেদ সালাহ। আর্সেনাল ডিফেন্সকে চূর্ণ করে একক দক্ষতায় দলকে ৩ গোলের ব্যবধান এনে দেন তিনি। 

শেষ মুহূর্তে নিজেদের ফিরে পেতে আর্সেনাল কোচ বদলি হিসেবে মাঠে নামান লুকাস তোরেইরাকে। ৮৫ মিনিটে সুপার-সাব তোরেইরা একটি গোল শোধ করলেও তা জয় বা ড্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে দুরন্ত জয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। লিগের প্রথম ম্যাচ তিন ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ শীর্ষে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। লিভারপুলের কাছে হারা আর্সেনাল ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
৩২৯ Time View

সালাহর জোড়া গোলে উড়ে গেলো আর্সেনাল

আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অ্যানফিল্ডে মহারণ বলেছিল একে অনেকেই। কিন্তু লিভারপুলের মাঠে গিয়ে মোহামেদ সালাহদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আর্সেনাল। জয়ের নেশায় খেলতে গিয়ে হেরে আসতে হলো ৩-১ গোলের ব্যবধানে। জোড়া করলেন মিসরীয় সুপার স্টার মোহামেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে বাকি গোলটি করেন জোয়েল মাতিপ। আর্সেনালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস তোরেইরা।

এ নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচেই জিতলো লিভারপুল। শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ১২টি জয় পেলো অল রেডরা। ইয়ুর্গেন ক্লুপের অধীনে এটা লিভারপুলের একটি রেকর্ড। ১৯৯০ সালে কেনে ডালগ্লিসের অধীনে টানা ১২টি ম্যাচ জিতেছিল তারা। ইয়ুর্গেন ক্লুপ সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন।

লিভারপুল-আর্সেনাল মহারণ শুরুর আগে গানারদের স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরি লিভারপুলের মাঠে এগিয়ে রেখেছিলেন স্বাগতিকদেরই। পাশাপাশি গত মৌসুমে সালাহদের কাছে গত ডিসেম্বরে ৫-১ গোলের হারের টাটকা স্মৃতিও মনে ছিল উনাই এমেরির।

সেই স্মৃতি নিয়েই শনিবার রাতে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের মুখোমুখি হয় গানার্সরা। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা কিছুটা আশ্বস্ত করলেও ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে ডিফেন্ডারদের উপর্যুপরি ব্যর্থতায় অ্যানফিল্ড থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল আর্সেনালকে।

প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চক্করে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল লিভারপুল। সে সুযোগে দাপট দেখায় আর্সেনাল। লিভারপুল গোলরক্ষক একটি বল ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে চলে এলে ম্যাচের ১১ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি হয় আর্সেনালের সামনে।

কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগ মোটেও কাজে লাগাতে পারেনি গানাররা। আংশিক প্রতিহত হওয়া বল পেয়ে তা ফাঁকা গোলে ঠেলতে ব্যর্থ হন আউবামেয়াং। আর্সেনালের প্রথম একাদশে এদিন অভিষেক হওয়া নিকোলাস পেপের কাছেও সুযোগ চলে আসে দলকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনিও।

অন্যদিকে প্রতি আক্রমণে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকা ইয়ুর্গেন ক্লুপের ছেলেরা সেই অর্থে গোলের ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করে উঠতে না পারলেও ৪১ মিনিটে আসল কাজটি করে দিলেন জোয়েল মাতিপ। ডান দিক থেকে আলেকজান্ডার আর্নল্ডের কর্নার থেকে গোলের তালা খোলেন তিনি। ফলে প্রথমার্থ শেষ হওয়ার আগেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

বিরতি থেকে ফিরে ডেভিড লুইসের ভুলে ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় লিভারপুল। সদ্যই চেলসি থেকে আসা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এ ক্ষেত্রে বল ধরে বক্সে আগুয়ান সালাহকে অবৈধভাবে বাধা দিলে পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। স্পট কিক নিতে আসেন সালাহ নিজেই এবং দুরন্ত গতির স্পটকিক থেকে ব্যবধান ২-০ করেন মিসরীয় স্ট্রাইকার।

৫৮ মিনিটে আবারও গোল। এবারও মোহামেদ সালাহ। আর্সেনাল ডিফেন্সকে চূর্ণ করে একক দক্ষতায় দলকে ৩ গোলের ব্যবধান এনে দেন তিনি। 

শেষ মুহূর্তে নিজেদের ফিরে পেতে আর্সেনাল কোচ বদলি হিসেবে মাঠে নামান লুকাস তোরেইরাকে। ৮৫ মিনিটে সুপার-সাব তোরেইরা একটি গোল শোধ করলেও তা জয় বা ড্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে দুরন্ত জয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। লিগের প্রথম ম্যাচ তিন ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ শীর্ষে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। লিভারপুলের কাছে হারা আর্সেনাল ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।