ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা এখন তুরস্কের দখলে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা এখন তুরস্কের দখলে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এই তথ্য জানিয়েছেন। 

শুক্রবার তুরস্কের দক্ষিণ প্রদেশ কিলিসের এক খাল উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং রাজনৈতিক একতা ধরে রাখতে পারলে সিরিয়া ভবিষ্যত উজ্জ্বল। আমরা প্রতিবেশির জন্য সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। 

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সরকার এখন পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ হলো-‘উত্তম বোঝাপড়া’। তুরস্ক ২০২৩ সালের টার্গেট বাস্তবায়নের সন্নিকটে রয়েছে। 

এরদোগান বলেন, আমাদের ‘শক্তিশালী’ তুরস্ক নির্মাণের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে। তুরস্কের সকল বন্ধু এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে। 

তুরস্কের সর্বাধিক জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডেইলি হুরিয়াতের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তুরস্ক ‘ইউফ্রেটস শিল্ড’ নামে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইেএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সিরিয়া থেকে বাস্তচ্যুত হওয়া লাখ লাখ মানুষ এই অভিযানের ফলে নিরাপদে সিরিয়ায় ফিরতে সক্ষম হয়।
 
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তুরস্কের আরও দুটি সফল অভিযান চালিয়েছে। সেই দুটি অভিযান হলো, ২০১৮ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ এবং ২০১৯ সালে পিস স্প্রিং। তুরস্কের এ অভিযানের লক্ষ্য হলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে হঠিয়ে দেওয়া। 

সিরিয়ায় কেন যুদ্ধে জড়িয়েছে তুরস্ক?

প্রথমত, সিরিয়ার সাথে তুরস্কের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। ইদলিবে তাদের অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা – যাতে যুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালাতে থাকা বেসামরিক লোকদের সিরিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরেই আশ্রয় দেয়া যায় এবং তারা তুরস্কের ভেতরে ঢুকে না পড়ে।

তুরস্কে প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ান অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের দেশে আর কাউকে আশ্রয় দেবার জায়গা নেই।

এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাশার আসাদের কট্টর বিরোধী। আরও একটি গভীর কারণ হলো সিরিয়ায় যে কুর্দি জনগোষ্ঠী আছে তারা যেন বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহের সুযোগে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে – সেই চেষ্টা করে চলেছে তুরস্ক। তুরস্ক চায়, সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে অন্য প্রায় ২০ লাখ সিরিয়ানদের সেখানে পুনর্বাসিত করতে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
৪১০ Time View

সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা এখন তুরস্কের দখলে

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা এখন তুরস্কের দখলে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এই তথ্য জানিয়েছেন। 

শুক্রবার তুরস্কের দক্ষিণ প্রদেশ কিলিসের এক খাল উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং রাজনৈতিক একতা ধরে রাখতে পারলে সিরিয়া ভবিষ্যত উজ্জ্বল। আমরা প্রতিবেশির জন্য সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। 

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সরকার এখন পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ হলো-‘উত্তম বোঝাপড়া’। তুরস্ক ২০২৩ সালের টার্গেট বাস্তবায়নের সন্নিকটে রয়েছে। 

এরদোগান বলেন, আমাদের ‘শক্তিশালী’ তুরস্ক নির্মাণের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে। তুরস্কের সকল বন্ধু এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে। 

তুরস্কের সর্বাধিক জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডেইলি হুরিয়াতের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তুরস্ক ‘ইউফ্রেটস শিল্ড’ নামে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইেএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সিরিয়া থেকে বাস্তচ্যুত হওয়া লাখ লাখ মানুষ এই অভিযানের ফলে নিরাপদে সিরিয়ায় ফিরতে সক্ষম হয়।
 
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তুরস্কের আরও দুটি সফল অভিযান চালিয়েছে। সেই দুটি অভিযান হলো, ২০১৮ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ এবং ২০১৯ সালে পিস স্প্রিং। তুরস্কের এ অভিযানের লক্ষ্য হলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে হঠিয়ে দেওয়া। 

সিরিয়ায় কেন যুদ্ধে জড়িয়েছে তুরস্ক?

প্রথমত, সিরিয়ার সাথে তুরস্কের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। ইদলিবে তাদের অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা – যাতে যুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালাতে থাকা বেসামরিক লোকদের সিরিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরেই আশ্রয় দেয়া যায় এবং তারা তুরস্কের ভেতরে ঢুকে না পড়ে।

তুরস্কে প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ান অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের দেশে আর কাউকে আশ্রয় দেবার জায়গা নেই।

এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাশার আসাদের কট্টর বিরোধী। আরও একটি গভীর কারণ হলো সিরিয়ায় যে কুর্দি জনগোষ্ঠী আছে তারা যেন বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহের সুযোগে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে – সেই চেষ্টা করে চলেছে তুরস্ক। তুরস্ক চায়, সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে অন্য প্রায় ২০ লাখ সিরিয়ানদের সেখানে পুনর্বাসিত করতে।

সবুজদেশ/এসইউ