সোমবার সকাল ৮টা থেকে সোয়া তিন লাখ ভোটারের এই নগরীতে ১৩৪টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ চলছে।
ভোট শুরুর পরপরই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটটি দেন সিলেটের গত মেয়াদের মেয়র ধানের শীষের প্রার্থী আরিফুল।
আর সিলেটের দুই বারের মেয়র নৌকার প্রার্থী কামরান সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোট দেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এসে আরিফুল অভিযোগ করেন, আগের রাতে নগরীর কয়েকটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার রাত ২টার দিকে নগরীর ১০, ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কটি কেন্দ্রে এই অনিয়ম হয়।
“১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত ২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। লোকজন সেখানে গেলে তাদের পুলিশের সহায়তায় বন্দুক নিয়ে তাড়া করেছে।”
আরিফুল বলেন, “রাতে কেন্দ্র বন্ধ থাকার কথা। সকালে খুলে দিলে লোকজন ভোট দিবে। এত রাতে এত মানুষ কেন্দ্রের ভিতর কী করছে?”
কোনো অনিয়মের প্রমাণ উদ্ধার করতে পারলে ‘কেউকে ছাড়া হবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
আরিফুল বলেন, “ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। জনগণের রায়ের প্রতি আমরা সবসময় শ্রদ্ধাশীল। জনগণের রায় মাথা পেতে নেব, স্যালুট জানাব।”
অন্যদিকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সার্বিক পরিস্থিতি ও ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।”
আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের রাজনীতি’ করে মন্তব্য করে কামরান বরেন, “ভোটে জনগণের দেওয়া রায় তিনি মেনে নেবেন।”
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি প্রথম দিন থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছে। আজকেও করবে। আসলে ভোটাদের গণজোয়ার দেখে তারা নানা সময়ে নানা কথা বলছে।”
আরিফুল ও কামরানসহ মোট সাতজন প্রার্থী এবার সিলেটে মেয়র হওয়ার আশায় ভোটের লড়াইয়ে আছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিল নির্বাচিত করবেন এ সিটির ভোটাররা।