সিলেটে তিন কেন্দ্রে হট্টগোল
সিলেট সিটির ৯, ১৮ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়ার সময় হট্টগোল হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালালউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় (উঁচা সড়ক) কেন্দ্রে ভোট নেওয়া এখন বন্ধ।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পুরুষ বুথে বেলা পৌনে ১১টার দিকে জোর করে একদল যুবক ঢুকে পড়েন। আর নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজালাল জামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে।
কাজী জালালউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৪০০-র মতো ভোট পড়ে। এরপরই একদল যুবক সেখানে ঢুকে জোর করে ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করেন। তখন গোলযোগের শুরু। বাইরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে সব দলের প্রার্থীদের এজেন্টরা বের হয়ে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল। কিন্তু বেলা পৌনে ১১টার দিকে একদল যুবক হঠাৎ করেই বিদ্যালয়ের তিনতলার একটি বুথে ঢুকে পড়েন। এটি পুরুষদের বুথ। কক্ষে ঢুকেই তাঁরা জোর করে সিল মারার চেষ্টা করছিলেন। এসব যুবকের কাছে ভোটের কোনো নম্বর ছিল না। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম তাঁদের বাইরে থাকার জন্য নির্দেশ দেন। তখন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বুথ থেকে তিনজনকে ধরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে আসে পুলিশ। বুথ দখলের সময় কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত নয়টি বুথে ৪৯৪ ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এ কেন্দ্রে যেসব যুবক ঢুকে পড়েছিলেন, তাঁদের বুকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নৌকা প্রতীকের ব্যাজ ছিল।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল এ কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে শাহজালাল জামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় কেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।