ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাসকারী

সীমান্ত গেইট খুলে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিল বিএসএফ

 

ভারতের হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাসকারী ৫৪ জনকে সীমান্তের গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। রোববার বিকাল ৪টার পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন কুসুমপুর ও বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা ঘটে। পরে কুসুমপুর ও বেনীপুর বিওপির পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ২৪ জন শিশু।

রোববার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও কোয়ার্টার মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটকরা হলেন- খুলনার দাকোপ থানার কামারখোলা গ্রামের শামসুর শিকদারের ছেলে হাকিম সিকদার (৫২), হাকিম শিকদারের ছেলে শাহাজান সিকদার (২১), নড়াইলের কালিয়া থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের আপন মল্লিক (৫১), একই গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে মনি হাওলাদার (২৮), লালমনিরহাট সদরের খোরারপুল গ্রামে শাহজাদার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), জাহাঙ্গীর আলমের ভাই জিয়ারুল (২৩) ও রাসেল (২১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার জয়মঙ্গল গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৬), একই গ্রামের জাকারিয়া হোসাইন (২৮), ও একই উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের মজিবর আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৫০)।

আটককৃতদের বরাতে বিজিবি জানিয়েছে, ভারতের গুজরাট থেকে নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে ফেরার জন্য সীমান্তে আসে ৪৫ জন। পরে গত শনিবার (২৪ মে) তারা বিএসএফের হাতে আটক হয়। এক পর্যায়ে সীমান্ত পিলার নং ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস এর মধ্যবর্তী গেইট খুলে দিয়ে বিএসএফ আটককৃতদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। পরে কুসুমপুর বিওপির হাবিলদার শিশির হালদারের নেতৃত্বে বিজিবি তাদের আটক করে।

এদিকে একই ভাবে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি’র অধীন বেনীপুর বিওপি এলাকায় সীমান্ত গেইট খুলে দিয়ে ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।

আটককৃতদের বরাতে বিজিবি জানিয়েছে, ২৪ মে শনিবার ভারতের হরিয়ানা পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। পরে বাসযোগে তাদের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন জীবননগর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ ক্যাম্পে রেখে যায় হরিয়ানা পুলিশ। পরে রোববার বিকাল ৪ টার দিকে সীমান্তের ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস পিলারের মধ্যবর্তী গেইট খুলে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তারা বিজিবির হাতে আটক হয়।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সীমান্তের গেইট খুলে দিয়ে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। পরে তারা বিজিবির টহল দলের হাতে আটক হয়। আটক ব্যক্তিরা ভারতের হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাস করতেন। ভারতে আটক হওয়ার পর তাদেরকে সীমান্ত গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। আটকদের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

একই দিনে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে আটক আরও ১৩ জন:

এদিকে একই দিন ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন নিমতলা, শ্যামকুড় ও মাটিলা বিওপির পৃথক অভিযানে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করে বিজিবি। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও দুইজন শিশু। আটকরা কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। আটকৃতদের মধ্যে ৮ জনকে মহেশপুর থানায় ও বাকি ৫ জনকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের অধিকাংশই জীবননগর থানার এখতিয়ারাধীন এলাকায় আটক হয়েছেন। তাদেরকে জীবননগর থানার মামলায় আসামী করা হতে পারে। মহেশপুর থানার অধীনে আমরা ৮ জনকে পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাসকারী

সীমান্ত গেইট খুলে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিল বিএসএফ

Update Time : ০১:২৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

ভারতের হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাসকারী ৫৪ জনকে সীমান্তের গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। রোববার বিকাল ৪টার পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন কুসুমপুর ও বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা ঘটে। পরে কুসুমপুর ও বেনীপুর বিওপির পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ২৪ জন শিশু।

রোববার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও কোয়ার্টার মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটকরা হলেন- খুলনার দাকোপ থানার কামারখোলা গ্রামের শামসুর শিকদারের ছেলে হাকিম সিকদার (৫২), হাকিম শিকদারের ছেলে শাহাজান সিকদার (২১), নড়াইলের কালিয়া থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের আপন মল্লিক (৫১), একই গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে মনি হাওলাদার (২৮), লালমনিরহাট সদরের খোরারপুল গ্রামে শাহজাদার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), জাহাঙ্গীর আলমের ভাই জিয়ারুল (২৩) ও রাসেল (২১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার জয়মঙ্গল গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৬), একই গ্রামের জাকারিয়া হোসাইন (২৮), ও একই উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের মজিবর আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৫০)।

আটককৃতদের বরাতে বিজিবি জানিয়েছে, ভারতের গুজরাট থেকে নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে ফেরার জন্য সীমান্তে আসে ৪৫ জন। পরে গত শনিবার (২৪ মে) তারা বিএসএফের হাতে আটক হয়। এক পর্যায়ে সীমান্ত পিলার নং ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস এর মধ্যবর্তী গেইট খুলে দিয়ে বিএসএফ আটককৃতদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। পরে কুসুমপুর বিওপির হাবিলদার শিশির হালদারের নেতৃত্বে বিজিবি তাদের আটক করে।

এদিকে একই ভাবে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি’র অধীন বেনীপুর বিওপি এলাকায় সীমান্ত গেইট খুলে দিয়ে ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।

আটককৃতদের বরাতে বিজিবি জানিয়েছে, ২৪ মে শনিবার ভারতের হরিয়ানা পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। পরে বাসযোগে তাদের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন জীবননগর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ ক্যাম্পে রেখে যায় হরিয়ানা পুলিশ। পরে রোববার বিকাল ৪ টার দিকে সীমান্তের ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস পিলারের মধ্যবর্তী গেইট খুলে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তারা বিজিবির হাতে আটক হয়।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সীমান্তের গেইট খুলে দিয়ে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। পরে তারা বিজিবির টহল দলের হাতে আটক হয়। আটক ব্যক্তিরা ভারতের হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাস করতেন। ভারতে আটক হওয়ার পর তাদেরকে সীমান্ত গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। আটকদের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

একই দিনে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে আটক আরও ১৩ জন:

এদিকে একই দিন ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন নিমতলা, শ্যামকুড় ও মাটিলা বিওপির পৃথক অভিযানে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করে বিজিবি। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও দুইজন শিশু। আটকরা কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। আটকৃতদের মধ্যে ৮ জনকে মহেশপুর থানায় ও বাকি ৫ জনকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের অধিকাংশই জীবননগর থানার এখতিয়ারাধীন এলাকায় আটক হয়েছেন। তাদেরকে জীবননগর থানার মামলায় আসামী করা হতে পারে। মহেশপুর থানার অধীনে আমরা ৮ জনকে পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ