ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদানে নাগরিকদের অস্ত্র নেওয়ার অনুরোধ

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাজধানী খার্তুমের ঠিক পাশেই অবস্থিত দারফুরের গভর্নর রাজ্যের নাগরিকদের অস্ত্র নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ আরও বাড়তে পারে বলে তার আশঙ্কা।

সোমবার (২৯ মে) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গভর্নর মিনি মিন্নাউই টুইটারে লিখেছেন, পুরুষ-নারী, বৃদ্ধ-জওয়ান নির্বিশেষে সকলের কাছে অনুরোধ, আপনারা অস্ত্র ধরুন। নিজেদের বাসস্থান রক্ষা করুন। দুই দশক আগে আমরা দেখেছি কীভাবে দারফুরকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল। আর তা হতে দেওয়া যাবে না।

এদিকে সোমবার বিকেলে দুই গোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতির চুক্তি শেষ হবে। সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সোমবার থেকে যাতে আবার নতুন করে লড়াই শুরু না হয় তার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে স্থানীয় সংবাদপত্রের দাবি, ইতোমধ্যেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে। নতুন করে বোমা-গুলি-মর্টারের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

দেশের সেনা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে আধাসামরিক গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এর মধ্যে জানজওয়াইদ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোদ্ধারাও যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ। আরবের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্গত এই যোদ্ধারা ২০০৩ সালে দারফুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। গোটা দারফুরকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করা হয়েছিল। সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিয়েছেন গভর্নর। দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
১০৩ Time View

সুদানে নাগরিকদের অস্ত্র নেওয়ার অনুরোধ

আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাজধানী খার্তুমের ঠিক পাশেই অবস্থিত দারফুরের গভর্নর রাজ্যের নাগরিকদের অস্ত্র নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ আরও বাড়তে পারে বলে তার আশঙ্কা।

সোমবার (২৯ মে) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গভর্নর মিনি মিন্নাউই টুইটারে লিখেছেন, পুরুষ-নারী, বৃদ্ধ-জওয়ান নির্বিশেষে সকলের কাছে অনুরোধ, আপনারা অস্ত্র ধরুন। নিজেদের বাসস্থান রক্ষা করুন। দুই দশক আগে আমরা দেখেছি কীভাবে দারফুরকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল। আর তা হতে দেওয়া যাবে না।

এদিকে সোমবার বিকেলে দুই গোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতির চুক্তি শেষ হবে। সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সোমবার থেকে যাতে আবার নতুন করে লড়াই শুরু না হয় তার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে স্থানীয় সংবাদপত্রের দাবি, ইতোমধ্যেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে। নতুন করে বোমা-গুলি-মর্টারের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

দেশের সেনা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে আধাসামরিক গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এর মধ্যে জানজওয়াইদ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোদ্ধারাও যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ। আরবের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্গত এই যোদ্ধারা ২০০৩ সালে দারফুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। গোটা দারফুরকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করা হয়েছিল। সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিয়েছেন গভর্নর। দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।