সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান
সবুজদেশ ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এদিকে, ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে এই ঝড়।
এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে। ওড়িশার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া, তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সোমবার বিকাল ৪টায় জরুরি বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ওডিশা উপকূলে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে।
সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলেদের সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এর মধ্যেই সাগরে মাছ ধরতে গেছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, সোমবার আরও শক্তিশালী রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দিয়ে স্থলে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়।
ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাবে। কিছু সময়ের জন্য এর গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটারও হতে পারে।
এদিকে, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশও। মঙ্গলবার বিকেল থেকে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এখন যে গতিতে এগিয়ে আসছে তাতে এটি বুধবার সকাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তাই আগামীকাল বিকেল থেকে হয়তো উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।