ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুযোগ নিতে চায় জাপা

Reporter Name

এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করছে, জনসমর্থন বিবেচনায় সরকার দুর্বল অবস্থানে আছে। বিএনপি যদি শক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, তা সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য আরও নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এমন হিসাব কষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর-কষাকষির প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা।

দলটির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, এবার জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চাইবে জাতীয় পার্টি। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন এরশাদ।

বর্তমানে একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকা জাপার নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকলে এ সরকার বৈধতা পেত না এবং পুরো মেয়াদে টিকে থাকা কঠিন হতো। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও জাপা নিজেদের ‘ক্ষমতার নির্ধারক’ এবং একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের জন্য ‘রক্ষাকবচ’ মনে করে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও যেমন জাপাকে আওয়ামী লীগের লাগবে, না এলেও লাগবে। জাপার নেতারা মনে করেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আওয়ামী লীগের একার পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। আবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর জন্য আবারও জাতীয় পার্টির প্রয়োজন পড়বে। সে জন্য গতবারের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগের কাছে আরও বেশি আসন দাবি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করেছেন।

জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১০০ আসন চাইব। জানি, আওয়ামী লীগ বড় দল। তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমরাও একটি জোট করেছি। সবাইকে নিয়েই তো নির্বাচনটা করতে হবে। কথা হচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা ছাড়া যদি আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া বা নির্বাচন না হয়, তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব?’

জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের উপলব্ধি হচ্ছে, দর-কষাকষি করে দুই-তিনজন মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেলে তাতে দলের লাভ হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা-কর্মীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হন। বর্তমানে জাপা থেকে তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকলেও তাঁরা সেভাবে দলে নেতা-কর্মীদের উপকারে আসেননি এবং তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না বলেও অভিযোগ আছে। তাই মাঠপর্যায়ে জাপাকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নেতাদের অনেকে।

তবে দলের কেউ কেউ মনে করেন, কেবল সাংসদ নয়, মহাজোট ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রিপরিষদে জাপার সংখ্যা বাড়াতেও দর-কষাকষি করতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ৮০টি আসনে লিখিত সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় প্রার্থীদের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ নির্বাচনে থাকে। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাওয়া ৩৪ জন সাংসদ হন। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিএনপির নির্বাচনে আসা বা না আসা, উভয় পরিস্থিতি নিয়ে সংকটে আছে ক্ষমতাসীনেরা। কারণ, সরকারকে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।

জাপার নেতারা মনে করছেন, দুর্নীতি, গুম, খুন, নির্যাতনসহ নানা কারণে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে, জনসমর্থনও অনেকটা নড়বড়ে অবস্থানে চলে গেছে। যা সম্প্রতি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় জাপাকে আবারও আওয়ামী লীগের সহযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঝুঁকি আছে। তাই এবার সংসদে, সরকারে, স্থানীয় সরকারে উপযুক্ত হিস্যা আদায়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা শক্ত অবস্থান নেওয়ার চিন্তা করছেন।

বর্তমানে একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করছে জাপা। আগামী সংসদে আর ‘কৃত্রিম’ বিরোধী দল হতে আগ্রহী নন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি সরকারের অংশ হতে চান। দর-কষাকষিতে সুবিধা পেতে জাপা জোট ভারী করার চেষ্টাও করছে। ইতিমধ্যে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ দুটি নিবন্ধিত ইসলামি দলসহ ৫৯টি অনিবন্ধিত দলের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করেছেন।

জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, বিএনপির নির্বাচনে আসা, না আসা-উভয় সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে জাপা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এরশাদ রংপুর সদর ও ঢাকার-১৭ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের যৌথ সভা আছে। এ সভা থেকে বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।

জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, দুটি প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। এক. বিএনপি না এলে জাপা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে সরকারের পরিবর্তনের পক্ষে যে জনসমর্থন, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবে। দুই. বিএনপি নির্বাচনে এলে জাপা একটি জোটের পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করবে।

নির্বাচনে প্রযুক্তিনির্ভর প্রচার চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে জাতীয় পার্টির। এ লক্ষ্যে পল্লীবন্ধুর হাত ধরে আরেকবার শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। যাতে এরশাদ সরকারের নয় বছরের শাসনামলে করা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে তিনটি মিলনায়তনে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের বড় আয়োজন করা হচ্ছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
১০২৯ Time View

সুযোগ নিতে চায় জাপা

আপডেট সময় : ০২:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করছে, জনসমর্থন বিবেচনায় সরকার দুর্বল অবস্থানে আছে। বিএনপি যদি শক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, তা সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য আরও নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এমন হিসাব কষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর-কষাকষির প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা।

দলটির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, এবার জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চাইবে জাতীয় পার্টি। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন এরশাদ।

বর্তমানে একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকা জাপার নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকলে এ সরকার বৈধতা পেত না এবং পুরো মেয়াদে টিকে থাকা কঠিন হতো। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও জাপা নিজেদের ‘ক্ষমতার নির্ধারক’ এবং একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের জন্য ‘রক্ষাকবচ’ মনে করে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও যেমন জাপাকে আওয়ামী লীগের লাগবে, না এলেও লাগবে। জাপার নেতারা মনে করেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আওয়ামী লীগের একার পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। আবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর জন্য আবারও জাতীয় পার্টির প্রয়োজন পড়বে। সে জন্য গতবারের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগের কাছে আরও বেশি আসন দাবি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করেছেন।

জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১০০ আসন চাইব। জানি, আওয়ামী লীগ বড় দল। তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমরাও একটি জোট করেছি। সবাইকে নিয়েই তো নির্বাচনটা করতে হবে। কথা হচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা ছাড়া যদি আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া বা নির্বাচন না হয়, তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব?’

জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের উপলব্ধি হচ্ছে, দর-কষাকষি করে দুই-তিনজন মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেলে তাতে দলের লাভ হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা-কর্মীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হন। বর্তমানে জাপা থেকে তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকলেও তাঁরা সেভাবে দলে নেতা-কর্মীদের উপকারে আসেননি এবং তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না বলেও অভিযোগ আছে। তাই মাঠপর্যায়ে জাপাকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নেতাদের অনেকে।

তবে দলের কেউ কেউ মনে করেন, কেবল সাংসদ নয়, মহাজোট ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রিপরিষদে জাপার সংখ্যা বাড়াতেও দর-কষাকষি করতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ৮০টি আসনে লিখিত সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় প্রার্থীদের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ নির্বাচনে থাকে। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাওয়া ৩৪ জন সাংসদ হন। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিএনপির নির্বাচনে আসা বা না আসা, উভয় পরিস্থিতি নিয়ে সংকটে আছে ক্ষমতাসীনেরা। কারণ, সরকারকে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।

জাপার নেতারা মনে করছেন, দুর্নীতি, গুম, খুন, নির্যাতনসহ নানা কারণে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে, জনসমর্থনও অনেকটা নড়বড়ে অবস্থানে চলে গেছে। যা সম্প্রতি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় জাপাকে আবারও আওয়ামী লীগের সহযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঝুঁকি আছে। তাই এবার সংসদে, সরকারে, স্থানীয় সরকারে উপযুক্ত হিস্যা আদায়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা শক্ত অবস্থান নেওয়ার চিন্তা করছেন।

বর্তমানে একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করছে জাপা। আগামী সংসদে আর ‘কৃত্রিম’ বিরোধী দল হতে আগ্রহী নন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি সরকারের অংশ হতে চান। দর-কষাকষিতে সুবিধা পেতে জাপা জোট ভারী করার চেষ্টাও করছে। ইতিমধ্যে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ দুটি নিবন্ধিত ইসলামি দলসহ ৫৯টি অনিবন্ধিত দলের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করেছেন।

জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, বিএনপির নির্বাচনে আসা, না আসা-উভয় সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে জাপা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এরশাদ রংপুর সদর ও ঢাকার-১৭ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের যৌথ সভা আছে। এ সভা থেকে বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।

জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, দুটি প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। এক. বিএনপি না এলে জাপা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে সরকারের পরিবর্তনের পক্ষে যে জনসমর্থন, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবে। দুই. বিএনপি নির্বাচনে এলে জাপা একটি জোটের পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করবে।

নির্বাচনে প্রযুক্তিনির্ভর প্রচার চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে জাতীয় পার্টির। এ লক্ষ্যে পল্লীবন্ধুর হাত ধরে আরেকবার শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। যাতে এরশাদ সরকারের নয় বছরের শাসনামলে করা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে তিনটি মিলনায়তনে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের বড় আয়োজন করা হচ্ছে।