সবুজদেশ ডেক্সঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া, নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা এবং ভোটের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন–বিষয়ক আইনশৃঙ্খলা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সকাল সাড়ে ১০টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, সভা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভোটের দিন এবং তার আগে-পরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সচিব বলেন, সভা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় কী, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যই আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নির্বিঘ্ন করা এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্দেশ থাকবে।
সচিব আরও বলেন, সাধারণত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের রোধে পুলিশ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো ধরনের হামলা না হয়, সে বিষয়েও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে।
তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে সচিব বলেন, সবই কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। বিএনপি আজ যে চিঠি দিয়েছে, সেটি নিয়ে আগামীকাল কমিশন সভায় আলোচনা হবে।
নতুন করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি বন্ধে কোনো নির্দেশ দেওয়া হবে কি না, প্রশ্নে সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়। ফেসবুক মনিটরিং করার বিষয়ে ইসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২৬ নভেম্বর ইসি সব মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে। তবে ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আপাতত ইসির নেই।
সচিব জানান, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে পুরোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা নেই। কেউ কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here