সেই বয়স্ক ভ্যানচালকদের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইলেন ইউএনও
যশোর :
মাস্ক না পরায় কান ধরিয়ে ছবি তোলা সেই তিন বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী। শনিবার দুপুরে তিনি উপজেলার চিনাটোলা এলাকায় ওই তিন বৃদ্ধের বাড়িতে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী শুক্রবার বিকেলের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেন। তাদেরকে নিরাপদে বাড়িতে থাকার জন্য বলেন। এরপর যদি খাবার ফুরিয়ে যায়, তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। তাহলেই বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে মণিরামপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশে বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।
এ সময় পুলিশ ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে সাইয়েমা হাসান শাস্তি হিসেবে তাদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। শুধু তাই নয়, এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। এছাড়া পরবর্তীতে অপর এক ভ্যান চলককে অনুরূপভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
এ ঘটনায় ফেসবুক জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।