ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের গোডাউন কিপার কারাগারে

Reporter Name

খুলনাঃ

১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক অন্যতম আসামী সোনালী ব্যাংকের গোডাউন কিপার মো. কামরুজ্জামানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর সিনিয়র বিশেষ আদালতে (দায়রা জজ আদালত) হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন মো. কামরুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ব্যাংকের অনুকূলে মর্টগেজ করা গোডাউন থেকে প্লেজ করা মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন গোডাউন কিপার কামরুজ্জামান। একই সাথে এ দুর্নীতিতে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছেন। মামলার মূল এজাহারে তার নাম না থাকলেও তদন্তের পর আদালতে দেওয়া দুদকের অভিযোগপত্রে তার নাম বেরিয়ে আসে। এই মামলার প্রধান আসামী মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেনও পলাতক রয়েছেন।

তবে মামলার অপর আসামি ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা, খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান কারাগারে রয়েছেন।

জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তিন দফায় ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নিয়ে কোনো মালামাল না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে সরকারের সুদ-আসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
৩৯০ Time View

১২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের গোডাউন কিপার কারাগারে

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

খুলনাঃ

১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক অন্যতম আসামী সোনালী ব্যাংকের গোডাউন কিপার মো. কামরুজ্জামানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর সিনিয়র বিশেষ আদালতে (দায়রা জজ আদালত) হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন মো. কামরুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ব্যাংকের অনুকূলে মর্টগেজ করা গোডাউন থেকে প্লেজ করা মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন গোডাউন কিপার কামরুজ্জামান। একই সাথে এ দুর্নীতিতে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছেন। মামলার মূল এজাহারে তার নাম না থাকলেও তদন্তের পর আদালতে দেওয়া দুদকের অভিযোগপত্রে তার নাম বেরিয়ে আসে। এই মামলার প্রধান আসামী মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম এমদাদুল হোসেনও পলাতক রয়েছেন।

তবে মামলার অপর আসামি ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা, খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান কারাগারে রয়েছেন।

জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তিন দফায় ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নিয়ে কোনো মালামাল না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে সরকারের সুদ-আসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।