জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এই তালিকাসহ বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে প্রবাসী কল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বায়রার প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতজন নারী ও পুরুষ কর্মী গেছেন, তাদের কতজন শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, কতজন স্বেচ্ছায় বা সরকারের সহযোগিতায় দেশে ফিরে এসেছেন- সেই তথ্য থাকতে হবে বলে রিট আবেদনকারী আইনজীবী।
জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন বাদী হয়ে গত সপ্তাহে এই রিট আবেদন করেছিলেন।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
শুক্রবার রাতে দেশে ফিরেছেন সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার আরও ৪২ নারী গৃহকর্মী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তোলা ছবি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
আদেশের পর আইনজীবী মাহফুজুর সাংবাদিকদের বলেন, রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছে।“সৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব কর্মী (নারী, পুরুষ) কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের যথাযথ নিরাপত্তা, অভিভাসন, প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে।
“এছাড়াও যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি ও ব্যক্তি যথাযথ আইন অনুসরণ না করে কর্মীদের বিদেশে পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।”
দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার সভাপতি-সম্পাদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মাহফুজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু ২০১৫ সালের আগে নারী কর্মীদের বিদেশে পাঠানো হতো না, তাই যেসব বিবাদিদের এক মাসের মধ্যে তালিকা দিতে বলা হয়েছে, তারা হয়ত ২০১৫ থেকে এখন পর্যন্ত যত কর্মী সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন, তাদের কতজন শারীরিক, যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন, কতজন স্বেচ্ছায় বা সরকারের সহযোগিতায় দেশে ফিরে এসেছেন, সেই তালিকা দিবেন।”