যশোরঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাহবুবুর রহমান এবং তার সহযোগী অনিক বাঘাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের যশোর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের বাশার মোড়লের ছেলে মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারণপূর্বক অর্থ দাবি করে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার অভয়নগর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে কথিত সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানসহ অনিক বাঘা নামের অপর এক সহযোগীকে আটক করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে নওয়াপাড়ার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই মেয়েটির সাংবাদিকতা করার বেশ শখ। এটা জানতে পেরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাহাবুব তাকে সাংবাদিকতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় এবং তার কাছ থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জন্ম নিবন্ধনের কার্ড নেয়। এ সময় মাহবুব ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে প্রায়ই তার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে।
হঠাৎ করেই মাহাবুব মেসেঞ্জারে ওই শিক্ষার্থীকে সাংবাদিকতার ফরম পূরণ করার জন্য তার ঘেরের বাসায় যেতে বলে। গত ২১ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন দুপুরের দিকে ওই স্কুলছাত্রী সাংবাদিকতার ফরম পূরণের জন্য মাহাবুবের ঘেরের বাসায় গেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আপত্তিকর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে চাঁদা দাবি করে। স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন।
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের পর নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।