ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
  • ৩১৮ বার পড়া হয়েছে।

যশোরঃ

শার্শায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাগর হোসেন (১৮) নামে এক তরুণকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, ২৬ জুলাই রাতে উপজেলার বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই মেয়েটি সেই রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। তখন একই গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), শফিকুল ইসলামের (কলু) ছেলে সুমন (১৮) ও পাশের কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫) তার মুখ চেপে ধরে পাশে পুকুর ধারের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। শেষে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওইসময় মেয়েটির স্বজনদের হাঁকডাকে তারা পালিয়ে যায়। ওই রাতেই মামলা হয় এবং শার্শা থানার পুলিশ জড়িত অভিযোগে সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করে।

মেয়েটির বাবা জানান, তিনি ভ্যানচালক, গরিব মানুষ হওয়ায় ওরা তাকে ঘটনা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

রাতে ‘সামাজিক বিচারের’ নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা ক্ষতিগ্রস্তদেরই উল্টো আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, তিনজনের নামে শার্শা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন এ অপকর্মে লিপ্ত ছিল। অন্য দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। দুপুরে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Tag :

স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১

Update Time : ০৮:২২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

যশোরঃ

শার্শায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাগর হোসেন (১৮) নামে এক তরুণকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, ২৬ জুলাই রাতে উপজেলার বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই মেয়েটি সেই রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। তখন একই গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), শফিকুল ইসলামের (কলু) ছেলে সুমন (১৮) ও পাশের কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫) তার মুখ চেপে ধরে পাশে পুকুর ধারের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। শেষে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওইসময় মেয়েটির স্বজনদের হাঁকডাকে তারা পালিয়ে যায়। ওই রাতেই মামলা হয় এবং শার্শা থানার পুলিশ জড়িত অভিযোগে সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করে।

মেয়েটির বাবা জানান, তিনি ভ্যানচালক, গরিব মানুষ হওয়ায় ওরা তাকে ঘটনা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

রাতে ‘সামাজিক বিচারের’ নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা ক্ষতিগ্রস্তদেরই উল্টো আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, তিনজনের নামে শার্শা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন এ অপকর্মে লিপ্ত ছিল। অন্য দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। দুপুরে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।