ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বাড়ছে চীনে

Reporter Name

স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বাড়ছে চীনে - ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল চীনে। সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দেশটির যখন স্কুলগুলো খুলতে শুরু করেছে তখনই নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটির ফুজিয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানকার সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ঘোষণার ৪ দিনের ব্যবধানে ফুজিয়ানে ১০০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর বাবা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার মাধ্যমে এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, যে শিশুটির বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ৩৮ দিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তিনি ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সব পরীক্ষায় নেগেটিভ ছিলেন তিনি। তাই এটা পরিষ্কার নয়, তিনি সিঙ্গাপুর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন কি না।

হুবেই প্রদেশের উহান থেকে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। উহানের পর করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল নানজিং। এই এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এক মাস আগে।

এরপর ফুজিয়ানের পুজিয়ান শহরে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। এই শহরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উহান ও নানজিংয়ের মতো ভুগতে পারে পুজিয়ান শহরও।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
৩৯৪ Time View

স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বাড়ছে চীনে

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল চীনে। সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দেশটির যখন স্কুলগুলো খুলতে শুরু করেছে তখনই নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটির ফুজিয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানকার সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ঘোষণার ৪ দিনের ব্যবধানে ফুজিয়ানে ১০০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর বাবা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার মাধ্যমে এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, যে শিশুটির বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ৩৮ দিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তিনি ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সব পরীক্ষায় নেগেটিভ ছিলেন তিনি। তাই এটা পরিষ্কার নয়, তিনি সিঙ্গাপুর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন কি না।

হুবেই প্রদেশের উহান থেকে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। উহানের পর করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল নানজিং। এই এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এক মাস আগে।

এরপর ফুজিয়ানের পুজিয়ান শহরে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। এই শহরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উহান ও নানজিংয়ের মতো ভুগতে পারে পুজিয়ান শহরও।