ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টার জলসা, স্টার প্লাসসহ বিভিন্ন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

স্টার জলসা, স্টার প্লাসসহ বিভিন্ন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।  চ্যানেলগুলো পরিবেশক জাদু ভিশনের সঙ্গে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশে স্টার গ্রুপের ওই চ্যানেলগুলো বুধবার থেকে সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কেবল অপারেটররা। 

কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, “পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্টার গ্রুপের (স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, স্টার গোল্ড ও লাইফ ওকে) সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কেবল অপারেটররা।”

তবে যেসব অপারেটর কোয়াবের সদস্য নয়, তারা সম্প্রচার চালু রেখেছে জানিয়ে আনোয়ার পারভেজ বলেন, “আমরা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি, এর ফলে দেশের মোট ৭৫ শতাংশ দর্শক এবং ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ দর্শক এসব চ্যানেল দেখতে পারছে না।”
 
গত ২৮ অক্টোবর কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাদু ভিশনের বিভিন্ন নেটওয়ার্কে বন্ধ করে দেওয়া স্টার গ্রুপের সিগন্যাল পুনঃসংযোগ না দিলে ৪ নভেম্বর থেকে এসব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে চারটি বিদেশি পে-চ্যানেল পরিবেশক রয়েছে। এর মধ্যে জাদু ভিশন লিমিটেড স্টার গ্রুপের (স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, স্টার গোল্ড ও লাইফ ওকে) বাংলাদেশের পরিবেশক হিসেবে ২০১০ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছে।

জাদু ভিশনের মালিকানা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকের।

জাদু ভিশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কুনাল দেশমুখ বলেন, “বর্তমানে দেশে ৬০০ এর উপর বৈধ কেবল অপারেটর রয়েছে, যাদের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক কেবল অপারেটর নিজেদের কোয়াব ঐক্য পরিষদ বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অবাঞ্ছিত কিছু বিষয় সামনে নিয়ে এসে নিজেদের আধিপত্য প্রমাণের চেষ্টা করছে।”

অল্প কিছু অপারেটর স্টার বয়কটের নামে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে দাবি করে কুনাল বলেন, “তারা নানা অজুহাতে বিপুল পরিমাণ বিল পরিশোধ করছে না।”

সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা চেষ্টা করছে সমস্ত বাংলাদেশের কেবল অপারেটরদের বিল অনৈতিকভাবে ‘ওয়ান অ্যালায়েন্স’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে জোরপূর্বক সংগ্রহ করতে, যা ব্যবসায়ীক নীতি ও আইনের পরিপন্থি।

‘আমরা বরাবরই সমস্যা সামাধানে আগ্রহী। কোনো কেবল অপারেটর যদি বিল পরিশোধের মাধ্যমে এককভাবে বসে সমঝোতা করতে চায় তাহলে তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময়ই খোলা।’

সমস্যা সমাধানে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাদু ভিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেবল অপারেটর এবং পে-চ্যানেল সরবরাহকারীর মধ্যে সরকার অনুমোদিত একটি সার্বজনীন সাবস্ক্রিপশন চুক্তি সরকার থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হোক। এর ফলে কেবল অপারেটররা ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন এবং সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
৩৯৩ Time View

স্টার জলসা, স্টার প্লাসসহ বিভিন্ন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

স্টার জলসা, স্টার প্লাসসহ বিভিন্ন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।  চ্যানেলগুলো পরিবেশক জাদু ভিশনের সঙ্গে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশে স্টার গ্রুপের ওই চ্যানেলগুলো বুধবার থেকে সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কেবল অপারেটররা। 

কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, “পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্টার গ্রুপের (স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, স্টার গোল্ড ও লাইফ ওকে) সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কেবল অপারেটররা।”

তবে যেসব অপারেটর কোয়াবের সদস্য নয়, তারা সম্প্রচার চালু রেখেছে জানিয়ে আনোয়ার পারভেজ বলেন, “আমরা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি, এর ফলে দেশের মোট ৭৫ শতাংশ দর্শক এবং ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ দর্শক এসব চ্যানেল দেখতে পারছে না।”
 
গত ২৮ অক্টোবর কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাদু ভিশনের বিভিন্ন নেটওয়ার্কে বন্ধ করে দেওয়া স্টার গ্রুপের সিগন্যাল পুনঃসংযোগ না দিলে ৪ নভেম্বর থেকে এসব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে চারটি বিদেশি পে-চ্যানেল পরিবেশক রয়েছে। এর মধ্যে জাদু ভিশন লিমিটেড স্টার গ্রুপের (স্টার প্লাস, স্টার জলসা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, স্টার গোল্ড ও লাইফ ওকে) বাংলাদেশের পরিবেশক হিসেবে ২০১০ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছে।

জাদু ভিশনের মালিকানা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকের।

জাদু ভিশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কুনাল দেশমুখ বলেন, “বর্তমানে দেশে ৬০০ এর উপর বৈধ কেবল অপারেটর রয়েছে, যাদের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক কেবল অপারেটর নিজেদের কোয়াব ঐক্য পরিষদ বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অবাঞ্ছিত কিছু বিষয় সামনে নিয়ে এসে নিজেদের আধিপত্য প্রমাণের চেষ্টা করছে।”

অল্প কিছু অপারেটর স্টার বয়কটের নামে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে দাবি করে কুনাল বলেন, “তারা নানা অজুহাতে বিপুল পরিমাণ বিল পরিশোধ করছে না।”

সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা চেষ্টা করছে সমস্ত বাংলাদেশের কেবল অপারেটরদের বিল অনৈতিকভাবে ‘ওয়ান অ্যালায়েন্স’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে জোরপূর্বক সংগ্রহ করতে, যা ব্যবসায়ীক নীতি ও আইনের পরিপন্থি।

‘আমরা বরাবরই সমস্যা সামাধানে আগ্রহী। কোনো কেবল অপারেটর যদি বিল পরিশোধের মাধ্যমে এককভাবে বসে সমঝোতা করতে চায় তাহলে তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময়ই খোলা।’

সমস্যা সমাধানে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাদু ভিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেবল অপারেটর এবং পে-চ্যানেল সরবরাহকারীর মধ্যে সরকার অনুমোদিত একটি সার্বজনীন সাবস্ক্রিপশন চুক্তি সরকার থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হোক। এর ফলে কেবল অপারেটররা ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন এবং সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না।’