ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

 

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আব্দুল জলিল সম্রাট (৩৬) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল জলিল সম্রাট সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের মৃত আবুল ঢালীর ছেলে।

সম্রাটের শ্বশুর সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের নূর ইসলাম জানান, ১৩-১৪ বছর আগে তার মেয়ে ফাতেমার সাথে সম্রাটের বিয়ে হয়। তাদের ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সম্রাট দিনমজুরের কাজ করতো। সংসারের দৈন্যতা ঘুচাতে ফাতেমা বছর খানেক আগে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি সম্রাট।

রোববার সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েদের রেখে ফাতেমা স্বামীর বাড়িতে আসে। সোমবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা স্বামী-স্ত্রী বিশ্রাম নিতে দরজার খিল লাগিয়ে শোবার ঘরে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে সম্রাটের মা তাদের দরজায় ধাক্কা মেরে ডাকাডাকি করতে থাকে। এতেও তাদের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সম্রাটকে আড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন তারা। পাশাপাশি স্ত্রী ফাতেমাকে তার পরনের পায়জামা দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ছেলে-মেয়েদের ঢাকাতে রেখে আসার কারণে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চরমে ওঠার একপর্যায়ে ফাতেমাকে হত্যা করে জামাই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করেন নূর ইসলাম।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুশান্ত ঘোষ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা কম্পাউন্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

Update Time : ১০:১১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আব্দুল জলিল সম্রাট (৩৬) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল জলিল সম্রাট সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের মৃত আবুল ঢালীর ছেলে।

সম্রাটের শ্বশুর সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের নূর ইসলাম জানান, ১৩-১৪ বছর আগে তার মেয়ে ফাতেমার সাথে সম্রাটের বিয়ে হয়। তাদের ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সম্রাট দিনমজুরের কাজ করতো। সংসারের দৈন্যতা ঘুচাতে ফাতেমা বছর খানেক আগে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি সম্রাট।

রোববার সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েদের রেখে ফাতেমা স্বামীর বাড়িতে আসে। সোমবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা স্বামী-স্ত্রী বিশ্রাম নিতে দরজার খিল লাগিয়ে শোবার ঘরে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে সম্রাটের মা তাদের দরজায় ধাক্কা মেরে ডাকাডাকি করতে থাকে। এতেও তাদের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সম্রাটকে আড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন তারা। পাশাপাশি স্ত্রী ফাতেমাকে তার পরনের পায়জামা দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ছেলে-মেয়েদের ঢাকাতে রেখে আসার কারণে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চরমে ওঠার একপর্যায়ে ফাতেমাকে হত্যা করে জামাই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করেন নূর ইসলাম।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুশান্ত ঘোষ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা কম্পাউন্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ