ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর মরদেহ রেখে স্বামী পলাতক

Reporter Name

যশোরঃ

যশোরের অভয়নগরে চন্দনা রায় (৩২) নামে এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ ফেলে রেখে তার স্বামী মন্টু মন্ডল পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেয়ে কনা মন্ডল বলেন, ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে, বাবা বাড়িতে নেই। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি দাবি করছি।

নিহতের সৎ ছেলে সজীব মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারন্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। এসময় আমি আর বাবা মায়ের মরদেহ নামিয়ে খাটের উপর রাখি। পরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মরদেহ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এসময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৭:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
৯০ Time View

স্ত্রীর মরদেহ রেখে স্বামী পলাতক

Update Time : ০৭:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

যশোরঃ

যশোরের অভয়নগরে চন্দনা রায় (৩২) নামে এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ ফেলে রেখে তার স্বামী মন্টু মন্ডল পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেয়ে কনা মন্ডল বলেন, ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে, বাবা বাড়িতে নেই। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি দাবি করছি।

নিহতের সৎ ছেলে সজীব মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারন্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। এসময় আমি আর বাবা মায়ের মরদেহ নামিয়ে খাটের উপর রাখি। পরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মরদেহ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এসময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।