ঢাকাঃ
স্ত্রী, সাতবছরের মেয়ে, গৃহকর্মীসহ এক উপ কর কমিশনার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তার সহকর্মীরা। সুধাংশু কুমার সাহা নামে এ কর্মকর্তা কর অঞ্চল-৩ ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) তার একাধিক সহকর্মী শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সুধাংশু কুমার সাহা ২৭তম ব্যাচের বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা। এর আগে কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রামের একজন কর পরিদর্শক পরিবারসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কর অঞ্চল-৩, ঢাকার তার কয়েকজন সহকর্মী শেয়ার বিজকে বলেন, সরকারি ঘোষণার পর থেকে তিনি অফিস করেছেন। তিনি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে অফিস করেছেন। অফিস আর বাসা ছাড়া কোথাও যেতেন না।
সর্বশেষ তিনি ১৪ মে অফিস করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে তার তীব্র জ্বর। উপসর্গ থাকায় নমুনা পরীক্ষা করান। আজ (বৃহস্পতিবার) তার নমুনা পজেটিভ আসে। জ্বরের সাথে শ্বাস কষ্ট হওয়ায় আজ ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিট-২ (বেড-১, রুম-১, ওয়ার্ড-৬০১) ভর্তি করা হয়েছে। তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
সহকর্মীরা আরো জানান, সুধাংশু কুমার সাহা ছাড়াও তার স্ত্রী মানষী সাহা, তাদের সাত বছরের কন্যা শিশু সাঁঝবাতি ও গৃহকর্মীর করোনা পজেটিভ। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দায়িত্বরত অবস্থায় এ কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মাধ্যমে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন এবং কর অঞ্চল থেকে তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
অপরদিকে, এর আগে প্রথমবার কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রামে কর্মরত একজন আয়কর কর্মকর্তা (কর পরিদর্শক) পরিবারসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তার স্বামী সিটিএসবিতে কর্মরত। তার মেয়ে ও ছেলে আক্রান্ত। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে সাধারণ ছুটির সময়ে আয়কর ও ভ্যাটের মাঠপর্যায়ের অফিস এবং সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২৮ এপ্রিল সব আয়কর অফিস খোলা রাখতে আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ‘জরুরী প্রয়োজনে’ এনবিআরের আয়কর অনুবিভাগের আওতাধীন দপ্তরগুলো খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সর্তকতামূলক সব ব্যবস্থা সাপেক্ষে আয়কর দপ্তরগুলো খোলা রাখতে হবে।
আদেশ জারির পর থেকে দেশের সব আয়কর অফিস খোলা হয়। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মকর্তাদের অফিস করতে বলা হয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।