ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-সন্তান রেখে ঘরে তুলল পরকীয়া প্রেমিকাকে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফুটফুটে ছেলে সন্তান ও স্ত্রীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা অন্যের স্ত্রীকে ঘরে তুলল এক পুলিশ সদস্য। বর্তমানে ৫ বছরের ছেলে ও স্ত্রী তাদের অধিকারের জন্য পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও এখনও অধিকার ফিরে পায়নি।

জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের বাদশা বিশ্বাস ছেলে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেনের সাথে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় একই উপজেলার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে তানিয়া পারভীনের।

বিয়ের পর তানিয়া পরিবার থেকে পলাশকে স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রও নগদ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের আয়াত নামের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার। কিন্তু সেই সুখের সংসারে অভিশাপ হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা রেজাউল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা অনু। বদলি জনিত কারণে পলাশ সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত অবস্থায় অনুর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী তানিয়া ও ছেলে আয়াতকে তাড়িয়ে দিতে শুরু হয় নির্যাতন। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের পরও তানিয়া তাকে ছেড়ে না আসায় যৌতুক দাবি করে পলাশ। এ দিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে অশান্তি শুরু হয়। ২০২২ সালের ১৪ জুলাই পরকীয়া প্রেমিকা অনুর একই উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের শুভ আহমেদ’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পুলিশ কনস্টেবল পলাশ। অনুর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বদলি সুত্রে কুষ্টিয়া থাকা অবস্থায় স্ত্রী ও তার ছেলে মারধর শুরু করে। তাদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে ২২ আগস্ট বিয়ে করে পলাশ।
এদিকে স্বামীর ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে অসহায় তানিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলেও আজও বিচার পাননি।

ভুক্তভোগী তানিয়া পারভীন বলেন, আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আর আমার ও আমার ছেলেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে এমন কাজ করলো সে। আমি বিচার চাই।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেন বলেন, আমার ফ্যামেলিগত সমস্যা থাকার জন্য আমি তাকে ডিভোর্স নিয়ে। এ নিয়ে আপনার তো এত মাথা ব্যাথার কোন দরকার নেই।

Tag :

স্ত্রী-সন্তান রেখে ঘরে তুলল পরকীয়া প্রেমিকাকে

Update Time : ০৫:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফুটফুটে ছেলে সন্তান ও স্ত্রীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা অন্যের স্ত্রীকে ঘরে তুলল এক পুলিশ সদস্য। বর্তমানে ৫ বছরের ছেলে ও স্ত্রী তাদের অধিকারের জন্য পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও এখনও অধিকার ফিরে পায়নি।

জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের বাদশা বিশ্বাস ছেলে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেনের সাথে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় একই উপজেলার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে তানিয়া পারভীনের।

বিয়ের পর তানিয়া পরিবার থেকে পলাশকে স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রও নগদ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের আয়াত নামের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার। কিন্তু সেই সুখের সংসারে অভিশাপ হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা রেজাউল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা অনু। বদলি জনিত কারণে পলাশ সাতক্ষীরা থানায় কর্মরত অবস্থায় অনুর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী তানিয়া ও ছেলে আয়াতকে তাড়িয়ে দিতে শুরু হয় নির্যাতন। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের পরও তানিয়া তাকে ছেড়ে না আসায় যৌতুক দাবি করে পলাশ। এ দিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে অশান্তি শুরু হয়। ২০২২ সালের ১৪ জুলাই পরকীয়া প্রেমিকা অনুর একই উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের শুভ আহমেদ’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পুলিশ কনস্টেবল পলাশ। অনুর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বদলি সুত্রে কুষ্টিয়া থাকা অবস্থায় স্ত্রী ও তার ছেলে মারধর শুরু করে। তাদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে ২২ আগস্ট বিয়ে করে পলাশ।
এদিকে স্বামীর ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে অসহায় তানিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলেও আজও বিচার পাননি।

ভুক্তভোগী তানিয়া পারভীন বলেন, আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আর আমার ও আমার ছেলেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে এমন কাজ করলো সে। আমি বিচার চাই।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য পলাশ হোসেন বলেন, আমার ফ্যামেলিগত সমস্যা থাকার জন্য আমি তাকে ডিভোর্স নিয়ে। এ নিয়ে আপনার তো এত মাথা ব্যাথার কোন দরকার নেই।