স্পর্শিয়ার নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ
সবুজদেশ ডেস্কঃ
পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় ‘নবাব এলএলবি’র পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই শোবিজ জগতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুঞ্জন ওঠে, সিনেমার যে দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে আনা হয় সেই দৃশ্যে থাকা অভিনেত্রী ও মামলার এজাহারে তিন নম্বর আসামী হিসেবে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে স্পর্শিয়াকে।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে এজহারে নাম থাকলেও অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছবিতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া একজন ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে পুলিশকে হেয় করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নেই। পরিচালকই এর জন্য মূলত দায়ী। এদিকে, মামলায় নিজের নাম জড়ানোয় অবাক হয়েছেন স্পর্শিয়া। এক ফেসুবক স্ট্যাটসে এ কথা জানিয়ে বলেন, আমি বেঁচে আছি।
নিজ বাসায় আছি। একদম ঠিক আছি। আলহামদুলিল্লাহ জীবনের সব কিছু ভালো আছে! আমার কিছু হয়নি। কিছু সওয়ার মতো কিছু হয়নি। ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘নবাব এলএলবি’। এর একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার এক নারী থানায় মামলা করার জন্য যান। ওই দৃশ্যে পুলিশের একজন এসআই (অভিনয় করেছেন শাহীন মৃধা) ওই নারীকে ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। সে দৃশ্য নিয়েই অভিযোগ পুলিশের। পুলিশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ছবির পরিচালক মামুনকে রাজধানীর মিরপুরের বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর পর্ণগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অপরদিকে একইসময় আটক অভিনেতা শাহীন মৃধাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার বাদী ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. নসিরুল আমিন জানান, রাজধানীর রমনা থানায় পর্ণগ্রাফি আইনে অনন্য মামুন ও শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর ‘আই থিয়েটার’ অ্যাপে মুক্তি পায় ‘নবাব এলএলবি’ ছবিটি। ওইদিন সিনেমাটির অর্ধেক অংশ মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি অর্ধেক মুক্তি দেওয়া হবে আগামী ১ জানুয়ারি। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মাহিয়া মাহি, অর্চিতা স্পর্শিয়া ও শহীদুজ্জামান সেলিম। প্রযোজনা করেছে সেলিব্রেটি প্রোডাকশন।