ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ রিহ্যাবের

Reporter Name

সরকারি কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সংগঠনটি আশা করছে, এই ঋণের ফলে তাদের ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। আবাসন খাতও ঘুরে দাঁড়াবে।

সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন সরকারি কর্মচারীদের যাচাই-বাছাই করে ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় যাচাই করতে হবে, তা রিহ্যাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। নতুন ক্রেতাদের উচিত তা দেখে নেওয়া। পাশাপাশি যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনা হবে, সেটি রিহ্যাবের সদস্য কি না, তা যাচাইয়ের পরামর্শ দেন তিনি।

রিহ্যাব জানায়, সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণের পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কর্মচারীরা এর আওতায় সর্বনিম্ন ৩০ ও সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। তবে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। এতে কর্মচারীদের সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০ বছর।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মচারীরা ২০ লাখ টাকা ঋণ পান। নতুন নীতিমালায় উপসচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মচারীরা অর্থাৎ জাতীয় বেতন কাঠামোর ৫ম থেকে ১ম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তাঁরা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে বা বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন। সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও ঋণ পাবেন বলে উল্লেখ করে রিহ্যাব।

আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, কর্মচারীরা এককভাবে এ ঋণ নিতে পারবেন। পাশাপাশি দলগতভাবেও ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে। একটি ফ্ল্যাটের দামের ১০ শতাংশ নিজে বিনিয়োগ করতে হবে, ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক অঙ্কের সুদের হার কার্যকর করার আহ্বান জানান রিহ্যাব সভাপতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনায় ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে লিজিং কোম্পানিতে গৃহঋণের সুদের হার ১৩-১৪ শতাংশ। এটি কমিয়ে আনা দরকার।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, আবুল ফাতহা মো. আহকাম উল্লাহ ইমাম খান, মো. আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
৪৫১ Time View

স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ রিহ্যাবের

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

সরকারি কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সংগঠনটি আশা করছে, এই ঋণের ফলে তাদের ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। আবাসন খাতও ঘুরে দাঁড়াবে।

সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন সরকারি কর্মচারীদের যাচাই-বাছাই করে ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় যাচাই করতে হবে, তা রিহ্যাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। নতুন ক্রেতাদের উচিত তা দেখে নেওয়া। পাশাপাশি যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনা হবে, সেটি রিহ্যাবের সদস্য কি না, তা যাচাইয়ের পরামর্শ দেন তিনি।

রিহ্যাব জানায়, সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণের পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কর্মচারীরা এর আওতায় সর্বনিম্ন ৩০ ও সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। তবে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। এতে কর্মচারীদের সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০ বছর।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মচারীরা ২০ লাখ টাকা ঋণ পান। নতুন নীতিমালায় উপসচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মচারীরা অর্থাৎ জাতীয় বেতন কাঠামোর ৫ম থেকে ১ম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তাঁরা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে বা বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন। সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও ঋণ পাবেন বলে উল্লেখ করে রিহ্যাব।

আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, কর্মচারীরা এককভাবে এ ঋণ নিতে পারবেন। পাশাপাশি দলগতভাবেও ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে। একটি ফ্ল্যাটের দামের ১০ শতাংশ নিজে বিনিয়োগ করতে হবে, ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক অঙ্কের সুদের হার কার্যকর করার আহ্বান জানান রিহ্যাব সভাপতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনায় ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে লিজিং কোম্পানিতে গৃহঋণের সুদের হার ১৩-১৪ শতাংশ। এটি কমিয়ে আনা দরকার।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, আবুল ফাতহা মো. আহকাম উল্লাহ ইমাম খান, মো. আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।