ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীর বাড়িতে যাওয়া হলো না কেয়ার (ভিডিও)

Reporter Name

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ৪ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কেয়ার। মার্চের ১ তারিখে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অবশেষে স্বামীর বাড়িতে যাওয়া হলো না নববধু কেয়া খাতুনের (১৬)। অবশেষে নিখোঁজের ১৭ দিন পর তার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ভিডিওঃ নিহত কেয়ার মরদেহ উত্তোলনের ।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের মাঠ থেকে কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী নিহত কেয়া ত্রিলোচনপুর গ্রামের সামাউল হক সামাদের মেয়ে ও একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাইক্রো চালক সাবজাল হোসেনের নববধু।

নিহত কেয়া খাতুনের শরীরের হাঁড়।

তবে পুলিশ বলছে, লাশটি আসলেই মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়ার কিনা তা ডিএনএ টেষ্ট ছাড়া সনাক্ত করা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, ওই ছাত্রীর দাদা মোশাররফ মন্ডল জানান, চুলের ব্যান্ড পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটাই আমাদের কেয়া। নিহত’র পিতা আব্দুস সামাদ জানান, পহেলা মার্চ মাসের ১ তারিখে তার মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। যাওয়ার সময় বাড়িতে রাখা তার বিয়ের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

নিহত কেয়ার দাদা মোশারফ মন্ডল।

তিনি বলেন, কালীগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজগার হোসেনের ছেলে আজিমকে আটক করে। পরে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

মেয়ের পিতা সামাউল হক সামাদ অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজিম, সলেমানের ছেলে মিলন ও আশাদুলের ছেলে ইস্রাফিল হত্যা করেছে।

নিহত কেয়ার পিতা সামাউল হক সামাদেরে আহাজির।

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা বলেছেন, আমি নয়, আজিমকে কেয়ার পিতা ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যানের ভাষ্য মতে এই হত্যার সাথে মিলন নামে এক যুবক জড়িত থাকতে পারে। তাকে ধরলেই এই হত্যার রহস্য বের হতে পারে। মিলনই কেয়াকে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছি।

নিহত কেয়ার মায়ের আহাজারি।

এদিকে গ্রামবাসি জানায়, বিয়ে হওয়ার পরও কেয়া গ্রামের কিছু যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে। সেই সুত্র ধরেই কিলার গ্রুপটি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেয়াকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে।

নিহত কেয়ার স্বামী সাবজাল হোসেনের আহাজারি।

নিহত কেয়ার পিতা জানান, মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করলেই কারা এই হত্যার সাথে জড়িত তা বেরিয়ে পড়বে।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, এটা গলিত লাশ তাই ডিএনএ টেস্ট ছাড়া আমরা বলতে পারব না যে এটি কেয়া খাতুনের লাশ।

ভিডিও দেখুন…

আরো পড়ুনঃ- কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কিশোরীর গলিত লাশ উদ্ধার

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
১৩২৪ Time View

স্বামীর বাড়িতে যাওয়া হলো না কেয়ার (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ৪ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কেয়ার। মার্চের ১ তারিখে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অবশেষে স্বামীর বাড়িতে যাওয়া হলো না নববধু কেয়া খাতুনের (১৬)। অবশেষে নিখোঁজের ১৭ দিন পর তার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ভিডিওঃ নিহত কেয়ার মরদেহ উত্তোলনের ।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের মাঠ থেকে কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী নিহত কেয়া ত্রিলোচনপুর গ্রামের সামাউল হক সামাদের মেয়ে ও একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাইক্রো চালক সাবজাল হোসেনের নববধু।

নিহত কেয়া খাতুনের শরীরের হাঁড়।

তবে পুলিশ বলছে, লাশটি আসলেই মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়ার কিনা তা ডিএনএ টেষ্ট ছাড়া সনাক্ত করা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, ওই ছাত্রীর দাদা মোশাররফ মন্ডল জানান, চুলের ব্যান্ড পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটাই আমাদের কেয়া। নিহত’র পিতা আব্দুস সামাদ জানান, পহেলা মার্চ মাসের ১ তারিখে তার মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। যাওয়ার সময় বাড়িতে রাখা তার বিয়ের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

নিহত কেয়ার দাদা মোশারফ মন্ডল।

তিনি বলেন, কালীগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজগার হোসেনের ছেলে আজিমকে আটক করে। পরে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

মেয়ের পিতা সামাউল হক সামাদ অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজিম, সলেমানের ছেলে মিলন ও আশাদুলের ছেলে ইস্রাফিল হত্যা করেছে।

নিহত কেয়ার পিতা সামাউল হক সামাদেরে আহাজির।

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা বলেছেন, আমি নয়, আজিমকে কেয়ার পিতা ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যানের ভাষ্য মতে এই হত্যার সাথে মিলন নামে এক যুবক জড়িত থাকতে পারে। তাকে ধরলেই এই হত্যার রহস্য বের হতে পারে। মিলনই কেয়াকে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছি।

নিহত কেয়ার মায়ের আহাজারি।

এদিকে গ্রামবাসি জানায়, বিয়ে হওয়ার পরও কেয়া গ্রামের কিছু যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে। সেই সুত্র ধরেই কিলার গ্রুপটি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেয়াকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে।

নিহত কেয়ার স্বামী সাবজাল হোসেনের আহাজারি।

নিহত কেয়ার পিতা জানান, মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করলেই কারা এই হত্যার সাথে জড়িত তা বেরিয়ে পড়বে।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, এটা গলিত লাশ তাই ডিএনএ টেস্ট ছাড়া আমরা বলতে পারব না যে এটি কেয়া খাতুনের লাশ।

ভিডিও দেখুন…

আরো পড়ুনঃ- কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কিশোরীর গলিত লাশ উদ্ধার