ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৎভাইকে গলা কেটে হত্যার পর পালাল ভাই

Reporter Name

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফামিদ (৪০) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে তার সৎভাই।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্তসংলগ্ন জামালপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক ভাই মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

নিহত ফামিদ জামালপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ওরফে নান্দু ডাকাতের ছেলে। তিনি সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসী বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ফামিদ সকালে নিজ বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন, এ সময় পেছন থেকে সৎভাই মিলন ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে ফামিদের গলায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ফামিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, নিহত ফামিদ খারাপ প্রকৃতির লোক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। তবে দেশে ফিরে ফের মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
৩০৯ Time View

সৎভাইকে গলা কেটে হত্যার পর পালাল ভাই

আপডেট সময় : ১২:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফামিদ (৪০) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে তার সৎভাই।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্তসংলগ্ন জামালপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক ভাই মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

নিহত ফামিদ জামালপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ওরফে নান্দু ডাকাতের ছেলে। তিনি সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসী বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ফামিদ সকালে নিজ বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন, এ সময় পেছন থেকে সৎভাই মিলন ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে ফামিদের গলায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ফামিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, নিহত ফামিদ খারাপ প্রকৃতির লোক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। তবে দেশে ফিরে ফের মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।